সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: সকাল থেকে কামদুনি (Kamduni) মোড়ে অবস্থানে বসেছেন কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার। লড়াই এখনও শেষ হল না। ফের পথে নামলেন কামদুনির আন্দোলনকারীরা।  বসেছেন তাঁরা। ২০১৩ সালে এই কামদুনির মাটিতে ছিন্নভিন্ন অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল কলেজ ছাত্রীর দেহ। হাড়হিম করা ঘটনার প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিল গোটা রাজ্য় (West Bengal)। একদশক পর ২ সাজাপ্রাপ্তের মৃত্য়ুদণ্ড রদ করে, যাবজ্জীবনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।


তথ্য়প্রমাণের অভাবে মৃত্য়ুদণ্ডপ্রাপ্ত একজনকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে। এর পর থেকেই সিআইডি তদন্ত নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে কামদুনি। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। আলাদা মামলা করেছেন কামদুনির প্রতিবাদীরাও। 


কামদুনিকাণ্ডে অভিযুক্ত চারজনের ক্ষেত্রে একাধিক বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে সুপ্রিমকোর্ট। যা নিয়ে পুরোপুরি খুশি নয় কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার। CBI তদন্তের দাবিতে অনড় থেকে, সুপ্রিমকোর্টেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গাফিলতির বিস্ফোরক অভিযোগ করছেন তাঁরা।


নির্যাতিতার ভাই বলছেন, রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রী কী বলেছিল, এই কেসে কপিল সিব্বলকে দিচ্ছি, কিন্তু আজকে সুপ্রিম কোর্টে দেখলাম কপিল সিব্বল নেই। কামদুনিকাণ্ডে অভিযুক্ত চারজনের ক্ষেত্রে একাধিক বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে সুপ্রিমকোর্ট। 


সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে যে,প্রতি মাসের প্রথম ও তৃতীয় সোমবার ওই চারজনকে রাজারহাট থানায় হাজিরা দিতে হবে।  ঠিকানা ও মোবাইল ফোনের নম্বর পরিবর্তন হলে তা পুলিশকে জানাতে হবে এবং পাসপোর্ট থাকলে অবিলম্বে পুলিশের কাছে জমা দিতে হবে।  কিন্তু, সর্বোচ্চ আদালতের এই নির্দেশের পরও পুরোপুরি খুশি নয় কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার। CBI তদন্তের দাবিতে অনড় থেকে, সুপ্রিমকোর্টেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গাফিলতির বিস্ফোরক অভিযোগ করছেন তাঁরা।    


নির্যাতিতার ভাই আরও বলেছেন, আমরা খুশি হতার যে ৪ জন হাইকোর্টে ছাড়া পেয়েছে, তাদের আবার লকআপে ঢোকানো হলে খুশি হতাম। যে দুজন রয়েছে তাদেরও কীভাবে ছাড়ানো যায়, মুখ্যমন্ত্রী সেই চেষ্টা করছে। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের হয়ে বিচার করছে না।


সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াইয়ের জন্য় মৃত তরুণীর ২ ভাইয়ের সঙ্গে দিল্লিতে গেছিলেন মৌসুমী কয়াল। তিনি অবশ্য় সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে আস্থা রাখছেন। কামদুনির অভিযুক্ত ৪ জনের ক্ষেত্রে শর্ত আরোপ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে তদন্তের দাবি বিজেপির। শীঘ্রই ফের সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছে কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার।