আবির দত্ত, কলকাতা : শিয়ালদামুখী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে (Kanchanjungha Express ) মালগাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু মিছিলের আশঙ্কা। উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক দেহ।  পিছনের দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে ভয়ঙ্কর ছবি সামনে আসছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের আশঙ্কা শেষ দুটি কামরায় অধিকাংশ মানুষই মারা গিয়েছেন। আশঙ্কা, চালকও আর জীবিত নেই। মনে করা হচ্ছে, মালগাড়ির চালক মারা গিয়েছেন। গ্যাস-কাটারের অভাবে এখনই তাঁকে বের করা যাচ্ছে না। 


 দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে দুটি কামরাই। ইতিমধ্যেই ৫ টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। আরও বহু মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ। তিনি লিখেছেন, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। রেল, এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ  নিজেদের  মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করছে। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।






রেলের দাবি, ৩ রেলকর্মী ও ৫ যাত্রী-সহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন মালগাড়ির চালক অনিল কুমার, সহকারী চালক শঙ্করমোহন দাস এবং এক্সপ্রেস ট্রেনের গার্ড আশিস দে। ঘটনাস্থলে যান দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত। দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। দিল্লি থেকে রওনা দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও।  


কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার প্রভাব পড়েছে উত্তরবঙ্গে রেল পরিষেবায়। মালদা টাউন স্টেশনে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েছিল কলকাতা থেকে নিউ জলপাইগুড়িগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। উত্তরবঙ্গের ৫টি ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। 

উত্তরবঙ্গের এই ট্রেন অ্যাক্সিডেন্টে ফিরল করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার স্মৃতি। মালগাড়ির ইঞ্জিনের উপর উঠে যায় কাঞ্জনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের বগি। মানুষের ভুল নাকি যন্ত্রের ত্রুটি, ফের উঠল প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে , বারবার রেল দুর্ঘটনার দায় কার? করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পরেও কেন শিক্ষা নিল না রেল? মালগাড়িতে কেন ছিল না অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস? এখনও কেন বসানো গেল না 'কবচ'? কী করে একই লাইনে চলে এল দুটি ট্রেন? ভাড়া বাড়ছে দূরপাল্লার ট্রেনের ভাড়া, যাত্রী সুরক্ষা কোথায়?  


আরও পড়ুন : 


কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা ফেরাল গাইসাল, বালাসোরের ভয়াবহ স্মৃতি, এখনও দগদগে অতীত