শিলিগুড়ি: 'এই নিয়ে পরে আলোচনা করব। এখন উদ্ধার ও পরিষেবা পুনরায় সচল করার কাজ কতদূর এগোল, সেটা দেখে নিই', ফাঁসিদেওয়ার ঘটনাস্থল (Kanchenjunga Train Accident) পরিদর্শনে এসে এই কথাই বললেন রেলমন্ত্রী (Rail Minister Ashwini Vaishnaw) অশ্বিনী বৈষ্ণব। বিশদ তদন্তের আগে কিছু বলা অনুচিত হবে, সেটি জানিয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী।

  


কী বললেন রেলমন্ত্রী?
'ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছি। জখমদের সঙ্গেও দেখা করলাম। ডাক্তার, রেলের কর্মী, প্রশাসন, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, গ্রামের মানুষ-সকলে মিলে উদ্ধারের কাজ করেছেন', বলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী। কিন্তু বালেশ্বরের ঘটনার পর কেন ফের এমন দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকতে হল এতগুলো মানুষকে? কেন রেলযাত্রা ক্রমেই আতঙ্কের হয়ে উঠছে? কার ভুলে আজকের এই দুর্ঘটনা? অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, 'এখন পুরো ফোকাসটাই উদ্ধার এবং পরিষেবা পুনরায় সচল করার উপর রয়েছে। পাশাপাশি, রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের তরফ থেকে যে তদন্ত শুরু হওয়ার কথা, সেটিও হয়ে গিয়েছে। সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।' ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের কাছে কী ভাবে ক্ষতিপূরণ পৌঁছে দেওয়া যায়, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান রেলমন্ত্রী। এখানেও কি বালেশ্বরের মতো কিছু ঘটল? রেলমন্ত্রীর জবাব, সেটি তদন্ত শেষ হলেই জানা যাবে। 
এদিন দিল্লি থেকে সোজা বিমানে করে বাগডোগরা পৌঁছন অশ্বিনী বৈষ্ণব। তার পর বাইকে চেপে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে দেখা যায় তাঁকে। হাসপাতালে ভর্তি জখমদের সঙ্গে দেখাও করেন। দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত শেষ হলে বলা যাবে বলে তিনি আরও জানান, এই সময়টা রাজনীতির সময় নয়। যদিও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী রেলের নিরাপত্তা নিয়ে তীব্র তোপ দেগেছেন এদিন।


মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা...
সকাল ৯টায় তাঁর কাছে খবর পৌঁছয় বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর, বিকেলের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেন তিনি। পরে বলেন, ''... দেখুন দুর্ঘটনা হতেই পারে, এটা কারও হাতে নেই। ফ্যাক্ট। কিন্তু সাথে সাথে এটাও ফ্যাক্ট, অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস চালু করেছিলাম, কোথায় গেল? রেলে এখন যাত্রী নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। পরিষেবা অত্যন্ত নিম্নমানের হয়ে গেছে। এখন উদ্বোধন ছাড়া রেলে আর কিছু হয় না। রেল এখন কার্যত অনাথ, বাজেট পর্যন্ত হয় না। ভোটে জিততেই ব্যস্ত থাকে কেন্দ্রীয় সরকার।'


আরও পড়ুন:ভোর থেকে অটোমেটিক সিগন্যালে ত্রুটি! দুর্ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ?