ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: কসবার জেনেসিস হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশ কমিশনের। ক্ষতিপূরণের নির্দেশ না মানায় স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে জানাল কমিশন।
চিকিৎসায় গাফিলতি, ক্ষতিপূরণ না দেওয়ায় নির্দেশ স্বাস্থ্য কমিশনের। ১১ মাস পরেও ক্ষতিপূরণ না দেওয়ায় লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশ। নতুন করে আর রোগী ভর্তি করতে পারবে না জেনেসিস হাসপাতাল। হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিলে স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে নির্দেশ। এ ব্যাপারে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি জেনেসিস হাসপাতালের।
কী ঘটেছে?
২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে একটি অভিযোগ জমা পড়েছিল। কমিশন সূত্রে খবর, এক রোগী অভিযোগ করেন জেনেসিস হাসপাতালের বিরুদ্ধে। চিকিৎসায় গাফিলতির পাশাপাশি, একাধিক বিল বাড়ানোর অভিযোগও করা হয়। স্বাস্থ্য কমিশনের সেই অভিযোগের শুনানিও হয়। সেই সময় হাসপাতালের তরফে ওই শুনানির দিনও কেউ আসেনি। এরপর ৩ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়। সেই টাকা ১১ মাস পেরিয়ে গেলেও ওই রোগীর পরিবারকে দেওয়া হয়নি হাসপাতালের তরফে, এমনটাই বলা হয়েছে।
এরপর আজ স্বাস্থ্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই হাসপাতালের লাইসেন্স আপাতত বাতিল করা হবে। নতুন রোগী ভর্তি করতে পারবে না, তবে পুরোনো রোগীদের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারবে।
রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের তরফে অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, '৩ লক্ষ ৬৮ হাজার ৮৮৯ টাকা ফেরত দিতে বলেছিলাম জেনেসিসকে। ১১ মাস হয়ে গেল। আমরা বারংবার মেল পাঠিয়েছি। কোনও রিপ্লাই দেওয়া হয়নি। আজ অভিযোগ লিস্টে রাখা হয়েছিল পরবর্তী নির্দেশের জন্য। হাসপাতাল আজও শুনানিতে উপস্থিত হয়নি। আমরা ফোনও করি, হাসপাতালের যিনি মালিক ডাঃ পূর্ণেন্দু রায়, তিনিও ফোন ধরেননি। ডাইরেক্টর হেলথ সার্ভিসকে বলা হয়েছে হাসপাতাল বন্ধ করতে। তবে যে রোগীরা ভর্তি আছেন তাঁদের চিকিৎসা চলবে।'