কলকাতা: কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে প্রতিবাদ জানিয়ে শনিবার দুপুরে গ্রেফতার হয়েছিলেন সুকান্ত-সহ বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এদিকে গ্রেফতারির পর বেল নিতে নারাজ ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। তবে শেষ অবধি প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর, রবিবার সকালে লালবাজারের সেন্ট্রাল লকআপ থেকে বেরিয়ে আসলেন সুকান্ত মজুমদার-সহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন, এবার কসবাকাণ্ডে বেলাগাম মদন-কল্যাণ
মুক্তির এদিন সকালে সুকান্ত মজুমদার বলেন, গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। রাজ্য সরকার পুলিশের মধ্য দিয়ে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে, গণতন্ত্রের বদ্ধভূমিতে পরিণত করেছে। আমরা এর বিরুদ্ধে গোটা রাত প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমরা প্রথম থেকেই বলেছিলাম, সই করে পার্সোনাল বেল বন্ডে আমরা জামিন নেবো না। আমার সঙ্গে প্রায় ৩২ জন কার্যকর্তা, জামিন প্রত্যাখান আন্দোলন শুরু করি। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এরপর বিজেপির কার্যকর্তারা, গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে, পশ্চিমবঙ্গের যেখানে গ্রেফতার হবে, আমরা জামিন নেবো না বা জামিন প্রত্যাখান আন্দোলন করব। আমরা দেখতে চাই, পুলিশের বেশি ক্ষমতা, নাকি বিজেপি কার্যকর্তাদের ? কত জেল আছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের আমরা সেটা দেখতে চাই। গোটা রাত আমরা বসেছিলাম। প্রথমে আমাদেরকে বলা হয়, সই করে জামিন নিন। আমরা প্রত্যাখ্যান করি। পুলিশ তারপর বলে যে, আপনাদের সই করতে হবে না। আপনারা চলে যান। অর্থাৎ আমাদেরকে কেন নিয়ে আসা হয়েছে, কোনও তথ্য পুলিশ আমাদের জানায়নি। তাঁদের কাছে নেইও।'
কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডে এবার গ্রেফতার হলেন নিরাপত্তারক্ষী। নির্যাতিতার অভিযোগ, নিরাপত্তারক্ষীকে বার করে দিয়ে তাঁর ঘরেই অত্যাচার চলে।নিরাপত্তারক্ষীর সাহায্য চেয়েও পাননি বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিতা। প্রশ্ন উঠেছে, চোখের সামনে এত বড় ঘটনা ঘটতে দেখেও কেন বাধা দেননি নিরাপত্তারক্ষী? কলেজ কর্তৃপক্ষকেও কেন জানাননি? তাঁকেও কি হুমকি দেওয়া হয়েছিল? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খাস কলকাতার বুকে আইন কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। মূল অভিযুক্ত প্রাক্তন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা ও তৃণমূল কর্মী এবং ওই কলেজেরই অস্থায়ী কর্মী মনোজিৎ মিশ্র। প্রতিবাদে শনিবার উত্তাল হয় শহরের রাজপথ এরই মধ্যে, কসবায় সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে গণধর্ষণের অভিযোগে, এক নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের নাম পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়। আদতে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দার বাসিন্দা। কসবায় ভাড়া থাকতেন আইন কলেজের ওই নিরাপত্তারক্ষী।যার কথা পুলিশকে দেওয়া অভিযোগপত্রেও উল্লেখ করেছেন নির্যাতিতা।