ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: শুক্রবার থেকেই খাস দক্ষিণ কলকাতার আইন কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে উত্তাল সারা রাজ্য। আর জি কর মেডিক্যালে চিকিৎসকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর আবারও এক তরুণী নিগৃহীত, নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লুণ্ঠিত তাঁর সম্ভ্রম। এই ঘটনায়   কসবা থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত তৃণমূলকর্মী সহ ৩ জনকে। ধৃত তিন জনের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। এবার সেই মোবাইল ফোন থেকেই ওই গণধর্ষণের ভিডিও পাওয়া গিয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে। ধৃত ১ জনের মোবাইল থেকে মিলেছে  নির্যাতনের ভিডিও। খবর পুলিশ সূত্রে। 

অভিযোগকারিণী আগেই জানান,ওইদিন গণধর্ষণের সময় তাঁর ভিডিও তুলে রাখা হয়। হুমকি দেওয়া হয়, মুখ খুললে ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়া হবে। সম্ভবত সেই ভিডিওই পাওয়া গিয়েছে এক অভিযুক্তের মোবাইলে। আর কারও ফোন থেকে কোনও ভিডিও রয়েছে কি না বা ডিলিট করা হয়েছে কি না , তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। 

পুলিশ সূত্রে খবর, ল'কলেজে 'গণধর্ষণ' এর অভিযোগের তদন্তে  সাড়ে ৭ ঘণ্টার CCTV ফুটেজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার দিন দুপুর ৩.৩০ থেকে রাত ১০.৫০ পর্যন্ত CCTV ফুটেজ উদ্ধার করা গিয়েছে। এবার অভিযোগকারিণীর বক্তব্যের সঙ্গে ফুটেজ মিলিয়ে দেখছে পুলিশ। 

অভিযোগকারিণী পুলিশের কাছে জানান, সেদিন তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল, বারবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন , কিন্তু লাভ হয়নি। সম্মান বাঁচাতে অভিযুক্তদের পা-ও ধরেছিলেন। কিন্তু তাতেও তাঁকে ছাড়া হয়নি। এই অভিযোগপত্রের ভিত্তিতেই এগোচ্ছে তদন্ত। 

শনিবার এই ঘটনায় আরও ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। কসবাকাণ্ডে ল'কলেজে নিরাপত্তারক্ষী পিনাকি বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনা ঘটার সময় এই নিরাপত্তারক্ষী দায়িত্বে ছিলেন বলে খবর সূত্রের। কসবাকাণ্ডে এই নিয়ে  মোট গ্রেফতার বেড়ে ৪ । ধৃত ২ পড়ুয়াকে জেরা করে গ্রেফতার কলেজের নিরাপত্তারক্ষী । প্রথমে নিরাপত্তারক্ষীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় , পরে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার সময় ইউনিয়ন রুমের বাইরে পাহারায় ছিলেন দুই আইন পড়ুয়া,অভিযোগ ছিল নির্যাতিতার । নিরাপত্তারক্ষীর সাহায্য চেয়েও সেদিন তিনি পাননি বলে জানান নির্যাতিতা।