সোমনাথ দাস, কেশপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে এক প্রাথমিক স্কুলে বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে মদ মাংস খাওয়ার অভিযোগ।  এর প্রতিবাদে গতকাল স্কুলের শিক্ষকদের দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখেন অভিভাবক ও গ্রামবাসীদের একাংশ।  ভবিষ্যতে আর এরকম হবে না, এই মুচলেকা দিয়ে পরে ছাড়া পান শিক্ষকরা। আগামীকাল অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠকের পর স্কুল খোলা হবে বলে জানানো হয়েছে।  এই ঘটনা ঘটেছে মাইপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।  


ঠিক কী ঘটেছে? 


প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক শিক্ষিকা ও পরিচালন কমিটির কয়েকজন মিলে মদ মাংস খাওয়া হয়েছে এই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করে স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা ঘটল কেশপুরের মাই পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। গত শনিবার স্কুল ছুটির পরে স্কুলেরই এক শিক্ষকের বিয়ে হওয়ার জন্য স্কুলে অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ও পরিচালন কমিটির কয়েকজনকে ভোজ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন। এই ঘটনায় গ্রামের বেশ কিছু লোকজন ও অভিভাবক প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে স্কুলে বিক্ষোভ করেন।


শুধু তাই নয়, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঘেরাও করে রাখেন। তাদের অভিযোগ, স্কুলের ভেতরে জ্যান্ত পাঠা কাটা হয়েছে এবং মদ মাংস খাওয়া হয়েছে। এই অভিযোগে বেশ কিছুক্ষণ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঘেরাও করে রাখেন। অবশেষে প্রধান শিক্ষককে মুচলেকা দেওয়া করানো হয়। যদিও এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামী বুধবার পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে এমনটাই জানিয়েছেন প্রতিবাদকারীরা। সবাইকে নিয়ে মিটিং করে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হবে এমনটাই জানান হয়। 


যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপন মিশ্র এ বিষয়ে জানান যে স্কুল ছুটির পরে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য এবং স্কুল খোলার পরে ছাত্র-ছাত্রীদের খাওয়ানো হবে বলে জানান ওই শিক্ষক। কিন্তু যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেন তিনি। প্রধান শিক্ষক বলেন, মাংস কেনা হয়েছে বাইরে থেকেই। স্কুলে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। মদ খাওয়ার মতন কোনও ঘটনা ঘটেনি। কিছু মানুষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। পাশাপাশি তিনি এও বলেন যে  তাঁকে চাপ দিয়ে মুচলেকা লেখানো হয়েছে।