হাওড়া: শীত চলে গিয়ে বাতাসে বসন্তের ছোঁয়া। তবে তাতে কী! ভোজনরসিক বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের মতোই খাওয়ারও কোনও নির্দিষ্ট ক্ষণ নেই। ভোজনরসিকদের রসনাতৃপ্তির জন্য় ফের শুরু হতে চলেছে ‘খাইবার পাস’ (Khaibar Pass 2022)।
এবারের ‘খাইবার পাস’-এর অন্যতম আকর্ষণ হাওড়ার অতি পরিচিত মিষ্টির দোকান ব্যাতাই মিষ্টান্ন ভাণ্ডার (Batai Mistanna Bhandar)। ৯৯ বছর ধরে দক্ষিণ ও মধ্য হাওড়ার মানুষের স্বাদপূরণ করে আসছে এই দোকান। এবার কলকাতার মানুষকেও মিষ্টি খাইয়ে মন জয় করতে চান কর্ণধার সৈকত পাল।
ব্যাতাই মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে গিয়ে দেখা গেল, ‘খাইবার পাস’-এর জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। মিষ্টির কারখানায় জোরকদমে কাজ চলছে। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত মিষ্টি তৈরি করে চলেছেন কারিগররা। রোজকার মিষ্টির পাশাপাশি বিশেষ ধরনের কিছু মিষ্টিও তৈরি হচ্ছে।
‘খাইবার পাস’-এ ব্যাতাই মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের পক্ষ থেকে কী বিশেষ আকর্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে? সৈকতবাবু জানালেন, ‘আমাদের দোকানের মূল আকর্ষণ স্পঞ্জ রসগোল্লা। আমাদের রসগোল্লার বিশেষত্ব হল, এটা নরম, মিষ্টি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি থাকে না অথচ সুস্বাদু। রসগোল্লার মধ্যে আমরা নানা চমক আনা চেষ্টা করেছি। আমরা ব্ল্যাক কারেন্ট রসগোল্লা, ক্যাপসিকামের ঝাল রসগোল্লাও করছি। রসগোল্লা তো সবাই মিষ্টি খান। এবার কলকাতার মানুষকে আমরা ঝাল রসগোল্লা খাওয়াতে চাই। এছাড়া ম্যাঙ্গো দই, নলেন গুড়ের ক্ষীর দই, স্ট্রবেরি মালাই দই, ব্ল্যাক কারেন্ট মালাই দইও আছে। খাইবার পাসে আমাদের স্টলে চিরাচরিত মিষ্টি যেমন থাকবে, তেমনই ফিউশন মিষ্টিও থাকবে। যার যেমন পছন্দ, সেটা বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। সবার রুচির কথাই আমরা মাথায় রাখছি।’
ব্যাতাই মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের কর্মীরা ছানা, ক্ষীর নিজেরাই তৈরি করে নেন। সেই ছানা ও ক্ষীর দিয়ে তৈরি হয় মিষ্টি। তার ফলে ভেজাল থাকে না। মিষ্টির স্বাদের পাশাপাশি গুণমানও বজায় থাকে। এটাই তাঁদের মূলধন বলে জানিয়েছেন সৈকতবাবু।
ব্যাতাই মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মিষ্টি চেখে দেখতে চলে আসুন ‘এবিপি আনন্দ খাইবার পাস’-এ, ৪ থেকে ৬ মার্চ সাউথ সিটি মলের কাছে ইইডিএফ গ্রাউন্ডে।