বিশ্বজিত্ দাস, খড়গপুর (পশ্চিম মেদিনীপুর): পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapur) খড়গপুরে এক মহিলাকে গণধর্ষণের (Molestation) অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের (TMC) এক কাউন্সিলর ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘটেছে গত জুলাইয়ে। থানায় অভিযোগ দায়েরের পর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু ওই কাউন্সিলর-সহ ২ অভিযুক্ত এখনও অধরা। তাঁদের গ্রেফতারের দাবিতে ওই মহিলা, পুলিশ সুপার ও এসডিপিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। যদিও অভিযুক্ত কাউন্সিলর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, তাঁকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। খড়গপুর টাউন থানা সূত্রে দাবি, ধর্ষণের সত্যতা এখনও তদন্তে মেলেনি।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মহিলাকে ধর্ষণ! তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে ফের গণধর্ষণের অভিযোগ! সদ্য বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদানকারী, খড়গপুর পুরসভার এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক এই অভিযোগ তুলেছেন এলাকারই এক মহিলা। অভিযোগকারিণীর দাবি, মাসখানেক আগে তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করে অলোক কুমার নামে এক যুবক।
অভিযোগকারিণীর দাবি, মীমাংসা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে, গত ২৫ জুলাই তাঁকে, খড়গপুরের বড় আয়মায়, তৃণমূলের পার্টি অফিসে ডাকেন স্থানীয় কাউন্সিলর মুকেশ হুমনে। অভিযোগ সেখানেই কাউন্সিলর ও তাঁর ২ সঙ্গী মিলে মহিলাকে গণধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে জানালে মহিলাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলেও দাবি। প্রায় ৩ মাস পর, পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ও খড়গপুরের SDPO-র কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই মহিলা।
যদিও এই অভিযোগের নেপথ্যে রাজনীতি দেখছেন খড়গপুরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর! ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ও কাউন্সিলর খড়গপুর পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের মুকেশ হুমনের কথায়, আমার যারা বিরোধী, তারা টাকা দিয়ে কোর্টে নিয়ে গিয়ে আমার নামে কেস করে দিয়েছে।
গত পুরভোটে, বিজেপির টিকিটে জিতে, খড়গপুর পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর হন, মুকেশ হুমনে। গত মে মাসে, তিনি যোগ দেন তৃণমূলে। দলবদলু সেই নেতার বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে চড়ছে রাজনীতির পারদ। পশ্চিম মেদিনীপুরের বিজেপি মুখপাত্র অরূপ দাসের কথায়, উনি তো বিজেপির টিকিটে জেতা। হঠাত্ মে মাসে তৃণমূলে যোগ দেন। বিপিতে ছিলেন যতদিন, ততদিন চরিত্র ঠিক ছিল। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই চরিত্র বদলেছে। তৃণমূলের কালচার।
পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতির কথায়, বিজেপির কাউন্সিলর। পরে তৃণমূলে এসেছে। ওর সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। বিজেপিতে দীর্ঘদিন ছিলেন। ওদের প্র্যাকটিস। তবে, চক্রান্তও হতে পারে। পুলিশ দেখছে। ঘটনায় অলোক কুমার নামে স্থানীয় যুবক গ্রেফতার হলেও, এখনও অধরা কাউন্সিলর ও তাঁর সঙ্গীরা। খড়গপুর টাউন থানার তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তের ভিত্তিতে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে, যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।