বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ রাজ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Electrocution) হয়ে মৃত্যু হল এবার এক হোমগার্ডের (Home Guard)। একের পর এক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। প্রতিবারই জমাজলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট  হয়ে মৃত্যুর খবর আসে। বর্ষা গেলেই ধামাচাপা পড়ে যায়, বলে বিরোধীদের দাবি। তবে এবার বাইশে এত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা আগেও বোধহয় ঘটেনি বলেই চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলেও। এবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর লোকাল থানার (Kharagpur West Midnapore) অন্তর্গত কলাইকুন্ডা পুলিশ ফাঁড়ির বাইরে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে।


আরও পড়ুন, মোবাইল-টর্চের আলোয় চিকিৎসা ! চ্যাংড়াবান্ধার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ফুঁসছে রোগীর পরিবার


বৈদ্যুতিক খুঁটিতে হাত দেওয়া মাত্র বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছিটকে পড়েন ওই হোমগার্ড


জানা গিয়েছে, কলাইকুন্ডা পুলিশ ফাঁড়িতে ৬ মাস ধরে কর্মরত ছিলেন ষষ্ঠী রায় নামে ওই হোমগার্ড। গতকাল ডিউটি সেরে ফাঁড়ির বাইরে একটি চা দোকানে চা খেয়ে হাতে ফোন নিয়ে কথা বলছিলেন। নিছকই হালকা মেজাজে বাড়ি ফেরার আগে আড্ডা দিতে গিয়ে, তখনও কেউ জানত না , কী অপেক্ষা করছে। কথা বলতে বলতে আচমকাই সেই সময় রাস্তায় পাশে থাকা একটি লোহার বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ছোঁয়া লেগে যায়। হাত দেওয়া মাত্র বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছিটকে পড়েন তিনি। ফাঁড়ির পুলিশ তাঁকে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। যদিও ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। আজ তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কলাইকুন্ডা পুলিশ ফাঁড়ির বাইরে রাস্তার পাশে যে সমস্ত বৈদ্যুতিক খুঁটি গুলো আছে, সেগুলি রেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বসানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।


 আগেও প্রশ্ন উঠেছে বহুবার, বিদ্যুৎ-র খুঁটি কার ? শুধু বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু থামেনি 


প্রসহ্গত, এর আগে নারকেলবাগান, হরিদেবপুর, মালদা,নদিয়া, দমদম মতিঝিল-সহ আরও একাধিক জায়গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তারপর তদন্ত শুরু হতেই একটাই প্রশ্ন উঠেছে বিদ্যুৎ-র খুঁটি কার আওতায় পড়েছে। বিতর্কের মাঝেই আরও একাধিক মৃত্যু হয়েছে। বাদ গেল না বৃহস্পতিবারও। হরিদেবপুরের বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায়, স্থানীয় কাউন্সিলর বলেছিলেন, জমা জল সরাতে পাম্প চালাতে বলেছিলাম। পাম্প চালালে দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। ঠিকাদার জানান, ওয়ার্ক অর্ডার নেই।  হরিদেবপুর জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট  হয়ে বালকের মৃত্যুর ঘটনায়, এমনটাই দাবি করেন ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রত্না শূর। এদিকে এই ঘটনায় সিইএসসি আগেই দাবি করে, ওই বাতিস্তম্ভ তাদের নয়। স্থানীয় কাউন্সিলর রত্না শূরের দাবি, বিএসএনএল-এর পোস্ট ব্যবহার করে পুরসভাই আলো লাগিয়েছিল। দিনকয়েক আগে ওই বাতিস্তম্ভের গোড়ায় খোঁড়াখুঁড়ি হয়েছিল। এ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তও দাবি করেন ওই স্থানীয় কাউন্সিলর।