ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: শিশুদের মধ্যে কিডনির সমস্যা নিয়ে অভিভাবকদের অনেকেই ঠিকমতো সচেতন নন। কিন্তু ইদানিং নানাকারণে বাচ্চাদের মধ্যেও বাড়ছে কিডনির নানা সমস্যা। বিশ্ব কিডদি দিবসের আগে এই বিষয়টি আলোচনায় তুলে আনল ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ। সচেতনতা চালাতে প্রচার চালাচ্ছে ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ। বিশ্ব কিডনি দিবসে আয়োজন হচ্ছে পদযাত্রারও।


১০ মার্চ বিশ্ব কিডনি দিবস। মানবশরীরে কিডনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিন্তু, প্রতিদিনের ডায়েট, নিত্যদিনের মানসিক চাপ এরকমই নানা কারণে প্রভাব পড়ে কিডনির স্বাস্থ্যে। বিশ্বজুড়েই রয়েছে এই রোগের প্রভাব। কিডনি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে পৃথিবীজুড়ে পালিত হয় বিশ্ব কিডনি দিবস (world kidney day). প্রতিবছর মার্চের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার পালন করা হয় এই দিনটি।     


চিকিৎসকদের মতে, বহুক্ষেত্রেই শিশুদের কিডনির সমস্যা নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। তাই অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বিশ্ব কিডনি দিবসে ডন বস্কো থেকে ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ পর্যন্ত পদযাত্রা করা হবে। 


ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের অধিকর্তা অপূর্ব ঘোষ বলেন, 'শিশুদের ক্ষেত্রে কিডনি নিয়ে সচেতন থাকেন না। ইউরিন ইনফেকশন হয় কিডনির সমস্যা থেকেই। সেটা অনেকসময় বোঝেন না। অনেকে বাচ্চাদের জন্মদিনে বহু টাকা খরচ করেন। সেই টাকায় অনেক শিশুর কিডনির সমস্যার চিকিৎসা হবে।'


ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ সূত্রে খবর, প্রতি মাসে এই স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে প্রায় হাজার খানেক শিশুর কিডনির রোগের চিকিৎসা হয়।  ১২টি বেডের সবকটিই প্রায় সবসময় ভর্তি থাকে। শিশুদের মধ্যে নেফ্রোটিক সিনড্রোমের সমস্যায় বেশি দেখা যায়। কিন্তু, কীভাবে বোঝা যাবে শিশুর কিডনির সমস্যা তৈরি হয়েছে? ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের চিকিৎসক জয়দেব রায় বলেন, একাধিক উপসর্গ দেখা যায়, সকালে মুখ ও চোখের অংশ নিয়মিত ফুলে থাকে। বাচ্চাদের শরীর ফুললে সতর্ক হতে হবে। প্রস্রাবের সমস্যা থাকলেও সতর্ক হতে হবে।'


এই সমস্ত বিষয় নিয়েই অভিভাবকদের বেশি সচেতন থাকতে হবে। সঠিক সময়ে যথাযথ চিকিৎসা হলে কিডনির রোগ প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলেই মত চিকিৎসকদের।ট


আরও পড়ুন: অ্যানাস্থেটিস্ট কম থাকায় ধুঁকছে পরিষেবা, চরম ভোগান্তি রোগীদের