পার্থপ্রতিম ঘোষ, শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বিজেপির (bjp) থেকে তাঁদের যে প্রাণের ঝুঁকি (life risk) রয়েছে, সে কথা গত কালই তৃণমূল (tmc) বিধায়কের (mla)কাছে জানিয়েছিলেন ক্যানিংয়ে (canning) নিহত (dead) তিন তৃণমূল নেতা (tmc leaders)। দাবি দলীয় মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্যের (debangshu bhattacharya)। তার পর ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। সব শেষ। সংযোজন দেবাংশুর। 


অভিযোগের আঙুল বিজেপির দিকে


বিজেপির মদতে ওই তিন জনকে যে খুন করা হয়েছে, সে অভিযোগ আগেই তুলেছেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লা। কিন্তু কেন খুন? খুঁজতে ব্যস্ত পুলিশ। যদিও দলীয় মুখপাত্রের দাবি, বিজেপির পায়ের তলার মাটি যত সরে যাচ্ছে তত তারা উদগ্রীব হয়ে পড়ছে। দেবাংশুর কথায়,' বিজেপির কেন্দ্রীয়, রাজ্যস্তরের নেতারা যে রকম উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন তার ফলাফল আমাদের বুথস্তরের কর্মীদের ভুগতে হচ্ছে।' কী রকম?
দলীয় মুখপাত্রের দাবি, প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই দাবি করেছেন তিন তৃণমূল নেতা খুনে যারা অভিযুক্ত তাদের প্রত্যেকেই আগে এসইউসিআইয়ের গুন্ডা ছিল। পরে সেখানে বামফ্রন্ট দুর্বল হয়ে পড়লে বিজেপিতে যোগ দেয় সকলে। এখনও তারা প্রত্যেকে বিজেপিতে, দাবি দেবাংশুর। রাজ্য়ের গেরুয়া সংগঠন অবশ্য কোনও অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, এটা বগটুই পার্ট টু। ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে ঝামেলা থেকে খুন। সঙ্গে পাল্টা প্রশ্ন, যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে বিজেপি কোথায়? 


দেবাংশুর তোপ


তৃণমূল মুখপাত্রের অবশ্য় জবাব, গত বিধানসভা নির্বাচনে ওই এলাকা থেকে ২৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিল পদ্মশিবির। তা ছাড়া ভাগ-বাঁটোয়ারার অভিযোগও ধোপে টেঁকে না কারণ কামিনীকাঞ্চন নিয়ে তাঁদের দলে যে রাজনীতি হয় সে কথা খোদ বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের মুখেই শোনা গিয়েছিল। সব মিলিয়ে ক্যানিংয়ের তিন খুনে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।
যাঁরা চলে গেলেন, তাঁদের পরিবারের কী হবে? সেই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য এসবের মাঝে অধরা। খুনের ধরনেও শিউরে উঠছেন প্রতিবেশীদের অনেকে। প্রথমে গুলি, তার পর নৃশংস ভাবে কুপিয়ে মারার অভিযোগ তিন জনকে। কীসের জেরে এত নৃশংসতা? উত্তর খুঁজছে ক্যানিং-সহ গোটা বাংলা। 


আরও পড়ুন:ক্যানিংয়ে জনবহুল এলাকায়, মোটরবাইক থামিয়ে তিন তৃণমূল নেতাকে গুলি করে, গলা কেটে নৃশংসভাবে খুন করা হয়।