অর্ণব মুখোপাধ্যায়, ব্রতদীপ ভট্টাচার্য , কলকাতা: কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) বরো চেয়ারম্যান (Borough Chairman) নির্বাচনে তৃণমূল কাউন্সিলরকে সমর্থন করলেন সিপিএম কাউন্সিলর! তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বাম কাউন্সিলরের বক্তব্য, তৃণমূল কাউন্সিলর ভাল কাজ করেন বলেই তাঁকে সমর্থন করেছেন।
ভোটাভুটিতে তৃণমূলকে সমর্থন বামের!বুধবার এমনই ছবি দেখা গেল বাঘাযতীন স্টেশন রোডে কলকাতা পুরসভার ১১ নম্বর বরো অফিসে। বরো চেয়ারম্যান নির্বাচনে তৃণমূল কাউন্সিলরকে সমর্থন করলেন সিপিএম কাউন্সিলর!
১৪৪ ওয়ার্ডের কলকাতা পুরসভায় তৃণমূল একাই এবার ১৩৪টি আসনে জয়ী হয়েছে। বিজেপি ৩টি, কংগ্রেস ২টি, বামেরা ২টি এবং নির্দল ৩টি আসনে জিতেছে।
বুধবার থেকে শুরু হয়েছে বরো চেয়ারম্যান নির্বাচনের কাজ। বুধবার ছিল কলকাতা পুরসভার ১১ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান নির্বাচন, যার আওতায় মোট ৭টি ওয়ার্ড রয়েছে। ৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে শুধুমাত্র ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিরোধী দলের কাউন্সিলর রয়েছেন। তিনি হলেন সিপিএমের নন্দিতা রায়। ১১ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান হিসেবে ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তারকেশ্বর চক্রবর্তীর নাম প্রস্তাব করা হয়। এই নির্বাচন পর্বে রিটার্নিং অফিসার ছিলেন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। হাত তুলে ভোটাভুটির সময় দেখা যায়, তৃণমূল কাউন্সিলরদের সঙ্গে ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর নন্দিতা রায়ও তাঁকে সমর্থন করছেন!
কলকাতা পুরসভার ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর নন্দিতা রায় বলেছেন, তারকেশ্বর চক্রবর্তী খুব ভাল কাজ করেন। তাই তাঁকে সমর্থন করলাম।
কলকাতা পুরসভার ১১ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তারকেশ্বর চক্রবর্তী বলেছেন, আরও ভাল কাজ করব। অনুপ্রেরণা পেলাম।
ঘটনা সামনে আসতেই কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি। ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেছেন, এ তো বোঝাই যাচ্ছে। নবান্নে ফিশফ্রাই খেয়ে এসেছিলেন বিমান বসু। বামেদের কিছু নেই।
কলকাতা পুরসভার ইতিহাস বলছে অতীতেও ঘটেছে এমন ব্যতিক্রমী ঘটনা। গত পুরভোটের পর তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সীর ভাই সন্দীপ রঞ্জন বক্সী যখন ৮ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন, তখন তাঁকে সমর্থন করেন ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সুব্রত ঘোষ।