উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: সকাল হোক বা রাত! করোনার (coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন ছারখার দেশ, পর পর মানুষের মৃত্যু হচ্ছে! অক্সিজেনের জন্য চারদিকে হাহাকার! তখন, মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বামপন্থী ছাত্র-যুব সংগঠনের নেতা-কর্মীরা! কখনও সিলিন্ডার কাঁধে! কখনও PPE পরে! পোশাকি নাম রেড ভলান্টিয়ার্স !
এবার তাঁদেরই কলকাতা পুরভোটের ময়দানে নামাল সিপিএম (CPM)। বামেদের প্রার্থী (Left Candidates) তালিকায় রেড ভলান্টিয়ার (KMC Election Red Volunteers) রয়েছেন ৪৩ জন। এঁদের অধিকাংশেরই বয়স ২০ থেকে ২৭ এর মধ্যে। কলকাতা পুরসভার ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের CPM প্রার্থী উপনিতা পাণ্ডে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের, তুলনামূলক সাহিত্যের স্নাতকোত্তরের ছাত্রী। এই SFI নেত্রীকে, প্রার্থী করেছে সিপিএম।
কলকাতা পুরসভার ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী উপনিতা পাণ্ডে বললেন, রেড ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করেছি। সেই সময় মানুষের কাছে পৌঁছেছি...কাজ করেছি।
৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী অন্বেষা দাস। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের ছাত্রী! SFI’র কলকাতা জেলা কমিটির সদস্য অন্বেষার উপরই ভরসা করছে সিপিএম। তিনি বললেন, 'সেই সময় অক্সিজেন থেকে খাবার পৌঁছে দেওয়া, আমরা সবাই মিলে এই কাজ করেছি। বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগ রক্ষা করেছি। ফলে, মানুষ আমাদের দেখলে সেই কথা বলছে।'
আরও পড়ুন :
প্রাসাদ পেলেও এই দু’কাঠা চেতলার বাড়িতেই থাকব, ভোটের ময়দানে নেমে বললেন কলকাতার বিদায়ী মেয়র
৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী অন্বেষা ভৌমিক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। স্নাতকোত্তরের ফার্স্টক্লাস পাওয়া অন্বেষাকেও প্রার্থী করেছে সিপিএম। ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী তনুশ্রী মণ্ডল। করোনার সময় তিনিও রেড ভলান্টিয়ার্স হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
ভোটের ময়দানে রেড ভলান্টিয়ার্সরা পুরভোটে স্ট্র্যাটেজি বামেদের। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ইমনকল্যাণ লাহিড়ির মতে, এটা তো সামাজিক স্বীকৃতি, এদের কাজকে গোটা পৃথিবী স্বীকৃতি দিয়েছে। বামেদের কাছে, এছাড়া কোও বিকল্পও ছিল না। কী বলছেন বিরোধীরা ? তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ৩৪ বছরে যা হয়েছে, এসব দিয়ে কিছু হবে না।
বিধানসভা নির্বাচনের সময় ও একঝাঁক তরুণ ছাত্র-যুব নেতৃত্বকে প্রার্থী করেছিল বামপন্থীরা। কলকাতা পুরভোটে কি বাজিমাত করতে পারবেন রেড ভলান্টিয়ার্সরা? উত্তর মিলবে পুরভোটের ফল বেরনোর পর।