সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: কলকাতা পুরসভা নির্বাচন চলাকালীন বাগবাজার হরনাথ হাইস্কুলে উত্তেজনা। বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটদানে বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগ। বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে বচসা ভোটারদের। বিজেপি প্রার্থী ব্রজেশ ঝা-কে ঘিরে বিক্ষোভ ভোটারদের। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। 


বাগবাজারে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বোসপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়েও উত্তেজনা। বিজেপি প্রার্থী ব্রজেশ ঝা-কে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। বিজেপি প্রার্থী ব্রজেশ ঝা-র অভিযোগ, সিসি ক্যামেরা যথাযথভাবে লাগানো না থাকায়, অবাধ ও স্বচ্ছ ভোটগ্রহণ হয়নি। এই নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপি প্রার্থী। সমস্যা ছিল মিটে গিয়েছে দাবি সেক্টর অফিসারের।


এদিকে, বিভিন্ন জায়গা থেকে সন্ত্রাস, ভোটদানে বাধা, মারধরের অভিযোগ আসছে। বড়বাজারে ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে মারোয়াড়ি বালিকা বিদ্যালয়ে উত্তেজনা। পুলিশকে ঠেলে বুথে ঢুকে তাণ্ডব বহিরাগতদের। ইভিএম খারাপ করে দেওয়ার অভিযোগ প্রিসাইডিং অফিসারের। এদিন বুথের মধ্যে তাণ্ডব দেখে দরজা বন্ধ করে ভয়ে কাঁপছিলেন ভোটাররা। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থী বিজয় ওঝার মদতে ছাপ্পা ভোট চলছিল। বিজেপি প্রার্থীর পাল্টা দাবি, বুথের ভিতরে ঢুকে গন্ডগোল পাকায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। গোলমালের জেরে বন্ধ হয়ে যায় ভোটগ্রহণ। বুথ দখলের অভিযোগ ওড়াল কমিশন।


বেলেঘাটায় ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থী মনীষা বিশ্বাসের এজেন্টের মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রতিক্রিয়া মেলেনি শাসকদলের। প্রতিবাদে বেলেঘাটা থানা ঘেরাও করেন বাম কর্মী, সমর্থকরা। 


শিয়ালদায় ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অটোয় করে ভোটার আনার অভিযোগ বাম, কংগ্রেস ও বিজেপি প্রার্থীর। প্রতিক্রিয়া মেলেনি শাসক দলের।


ভোট লুঠের অভিযোগে সিঁথি থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ ২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী দেবলীনা সরকারের। পুলিশের বিরুদ্ধেও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। প্রতিক্রিয়া মেলেনি তৃণমূলের। 


ব্রেবোর্ন রোডে ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে জৈন হাইস্কুলে পুলিশের সামনেই কংগ্রেস এজেন্টকে মারতে মারতে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস এজেন্টকে মাটিতে ফেলে মারা হয় কিল, চড়, লাথি। প্রতিক্রিয়া মেলেনি শাসকদলের। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় র‍্যাফ। এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।