কলকাতা: ‘পশ্চিমবঙ্গে স্বাধীনতার পর কোনও বিরোধী দলনেতার গায়ে হাত দেয়নি। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলকাতা পুলিশ বিরোধী দলনেতার গায়ে পর্যন্ত হাত দিয়েছে।’
নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে এই অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘পুলিশের অতি-সক্রিয়তা। বিধাননগরে আটকাচ্ছে কোনও এক যাদবকে দিয়ে ৫০০ পুলিশ আর আমরা ২০টা লোক। এখানে জয়শঙ্কর বলে একটা থার্ড গ্রেডেড ইন্সপেক্টর আছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাকর। না হলে শান্তনু সিনহা বিশ্বাসের পুলিশ ওয়েলফেয়ার বোর্ডের উচ্ছিষ্ট খাওয়া একটা অফিসার আমার গায়ে টাচ করেছে। আমি বিরোধী দলনেতা। সংবিধানকে সামনে রেখে বিধায়ক হিসেবে শপথ নিয়েছি। আমার গায়ে পর্যন্ত টাচ করেছে। এগুলো বাংলার মানুষ দেখছে। পশ্চিমবঙ্গে স্বাধীনতার পর কোনও বিরোধী দলনেতার গায়ে হাত দেয়নি। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলকাতা পুলিশ বিরোধী দলনেতার গায়ে পর্যন্ত হাত দিয়েছে। এতজন নেতা, সাংবাদিকের সামনে আমার গায়ে হাত দিয়েছে। এর বিহিত হবে। পৃথিবীটা গোল। আমি তোলামূল পার্টিকে বলে রাখি, কংগ্রেস যেমন বিধানসভায় শূন্য হয়েছে, সিপিএম যেমন শূন্য হয়েছে, ভবিষ্যতে এদের কপালেও তাই আছে। পিসি-ভাইপো বালির বাঁধ দিয়ে বেশিক্ষণ এ জিনিস চালাতে পারেন না। চলবে না। এর পতন অনিবার্য।’
পুলিশ ও তৃণমূলের পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেও তীব্র আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘আমরা মাননীয় রাজ্যপালকে যা বলেছি, মেরুদণ্ডহীন ইলেকশন কমিশনার, যিনি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে এক্সটেনশন পেয়েছেন, তাঁর আনুকূল্যে আছেন, পে রোলে আছেন, সেই নির্বাচন কমিশনারকে আমি বলেছি, অশোক গঙ্গোপাধ্যায় চলে যাওয়ার পর থেকে রাজ্যের মানবাধিকার কমিশন যেমন নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তেমনই রাজ্য নির্বাচন কমিশন দফতরটাও নিষ্ক্রিয় হয়ে গেল। এখানে আর কেউ আসবে না। এখানে আসা যা, ক্যামাক স্ট্রিটে ভাইপোর দফতরে বা তপসিয়ায় তৃণমূলের দফতরে যাওয়া সমার্থক। গণতন্ত্রে এ জিনিস বেশিদিন চলে না। আমরা বলে এসেছি, শুধু আমরা না, সমস্ত বিরোধী দল, এমনকী যে দু-চারজন নির্দল প্রার্থী ছিলেন, প্রত্যেকের অভিযোগ এক। আমরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সরাসরি বলেছি, যদি দম থাকে, নির্বাচন বাতিল করে পুনর্নির্বাচন করুন। আপনার যে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, তার অস্তিত্ব, তার সম্মান, তার গরিমা, তাক মর্যাদা আপনি ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন।’