কলকাতা: সেই ট্রাডিশন সমানেই চলছে। কলকাতা পুরভোট (Kolkata Municipal Election 2021)ঘিরে অশান্তি, হুমকির অভিযোগ সকাল থেকেই আসছে। এমনকি বাড়িতে গিয়েও বিরোধী দলের প্রার্থীর এজেন্টকে প্রাণে মারার হুমকি  (Threat)। অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে।ছেলের নিরাপত্তার  আশঙ্কায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বাম প্রার্থীর এজেন্টের মা (Mother of Agent Of CPM Candidate)।


কসবা বোসপুকুর এলাকায় ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম এজেন্টের বাড়ি গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কান্নায় ভেঙে পড়েন বাম এজেন্টের মা। খবর পেয়ে এজেন্টের বাড়িতে যান সিপিএম প্রার্থী দীপু দাস। পুলিশ নিষ্ক্রিয়, দাবি বাম প্রার্থীর।


ওই মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে এজেন্ট হিসেবে বুথে বসেছিলেন। এরইমধ্যেপাঁচিল টপকে বাড়িতে ঢুকে পড়ে কয়েকজন। শাসানি দিয়ে তারা, বলে ছেলেকে নিয়ে আয়। না হলে ছেলের চিহ্ন পাবি না।


KMC Election 2021: বিরিয়ানি খাইয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা! কাঠগড়ায় বিজেপি


এই ঘটনার পর পরিবারের অন্য সদস্যরা ওই মহিলাকে তাঁর ছেলেকে বুথ থেকে নিয়ে আসার পরামর্শ দেন। বাড়িতে  তাঁরা দুজন। ভোটের অশান্তিতে ছেলের কিছু হলে কী হবে, তা নিয়ে আশঙ্কায় হতবিহ্বল হয়ে পড়েন তিনি। সাহস যোগাতে তাঁর বাড়িতে আসেন বাম প্রার্থী। ওই  এজেন্টের মা বলেছেন,   এই অবস্থায় ছেলেকে আর বুথে পাঠাবো না।


সিপিএম প্রার্থী দীপু দাস বলেছেন, ভোটে ব্যাপক বেনিয়ম চলছে। স্পেশাল অবর্জার্ভার, স্থানীয় থানাকে খবর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কিছু ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে না।  ভোটার কার্ড না দেখিয়েই অবাধে বুথে ঢুকে যাচ্ছে। প্রিসাইডিং অফিসার বলছে, ভোটার কার্ড দেখার দায়িত্ব তাঁর নয়। গেটে যারা রয়েছে তাদের। এভাবে সবাই দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে।


এর আগে গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে তৃণমূলের এক এজেন্টের মায়ের হুমকির মুখে কান্নায় ভেঙে পড়ার ছবি সামনে এসেছিল। সেই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছিল তৃণমূল। এবার কলকাতা পুরসভার ভোটে কার্যত একই ঘটনার পুণরাবৃত্তি। পুলিশের আশ্বাস, তৃণমূল নেতাদের অবাধ ভোটের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও পুরভোট ঘিরে অশান্তি অব্যাহতই রয়েছে। বাম প্রার্থী বলেছেন, তৃণমূল নেতাদের কথায় কোনও রকম ভরসা করা যায় না। অবাধে ভোটে অনিয়ম হচ্ছে। হুমকি দেওয়া হচ্ছে। গণতান্ত্রিক অধিকারেই এজেন্ট হয়েছেন ছেলে। কিন্তু এই অবস্থায় তাঁকে যদি হুমকি দেওয়া হয়, তাহলে মায়ের তো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়াই স্বাভাবিক।