অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: কলকাতা পুরভোটে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের ছবি দেখা যেতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে পুলিশ। চেতলায় ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে বুথের সামনে ফিরহাদ হাকিমের ছবি দেওয়া হোর্ডিং ছিল। ভোটের দিন যা থাকা আবশ্যক নয়। তাই পুলিশের নির্দেশে ববি হাকিমের সেই হোর্ডিং সরালেন তৃণমূল কর্মীরা।
নির্বাচন কমিশনের তরফে নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আদর্শ আচরণবিধি অনুসারে, ভোটের দিন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে কোনও রকম প্রচার করা যাবে না। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময়ের পূর্ববর্তীপ্রচার-নিষিদ্ধ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেও বন্ধ থাকবে প্রচার। এমনকী কোন রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী তাঁদের অনুগামীদের কোন ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া বিজ্ঞপ্তি বা ব্যানার ইত্যাদি কাজে অনুমতি দেবে না। এই নিয়মানুসারেই ববি হাকিমের হোর্ডিং সরানো হয়েছে।
আরও পড়ুন, শ্যামবাজারের মণীন্দ্র কলেজে বাম এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল
অন্যদিকে, চেতলায় ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে বাম এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে। সিপিআই প্রার্থী পারমিতা দাশগুপ্তর অভিযোগ, বুথের বাসিন্দাকে এজেন্ট হিসেবে বসাতে হবে, এই টেকনিক্যাল কারণ দেখিয়ে বাধা দেন প্রিসাইডিং অফিসার। প্রতিক্রিয়া মেলেনি প্রিসাইডিং অফিসারের।
এছাড়াও, ১০২, ১০৯, ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি বুথে বাম এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএমের তরফে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের। এদিকে, ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে রামগড় এলাকার বিভিন্ন বুথে বাম ও বিজেপির এজেন্টদের বুথে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। প্রতিক্রিয়া মেলেনি শাসকদলের।
অন্যদিকে, ক্রিস্টোফার রোডে ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী চন্দন দাসকে হেনস্থার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, সিসি ক্যামেরা বিকল খবর পেয়ে বুথে ঢুকতে গেলে ধাক্কাধাক্কি করেন তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল প্রার্থী সন্দীপন সাহার।