কলকাতা : “এই ওয়ার্ডে জন্মভূমি এবং কর্মভূমি।’’ প্রথম দিন প্রচারে বেরিয়ে বলেছিলেন কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় ( Kajari Banerjee)। সেই "জন্মভূমি এবং কর্মভূমি"-তে তিনি কাজের সুযোগ পাবেন কি না তা পরিষ্কার হয়ে যাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই। তবে, প্রাথমিক ট্রেন্ডে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে অনেকটাই এগিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ( CM Mamata Banerjee ) ভ্রাতৃবধূ।
বহু বছর ধরে রাজনীতির (Politics) সঙ্গে যুক্ত। এবার রাজনীতির চিরাচরিত গণ্ডি পেরিয়ে ভোটের (Election) ময়দানে কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ( CM Mamata Banerjee ) ওয়ার্ড বলে পরিচিত কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) ৭৩ নং ওয়ার্ড। সেই ওয়ার্ডেই এবার প্রার্থী হন কাজরী।
আরও পড়ুন ; কলকাতা পুরসভা কার? ৮টা থেকে শুরু ১৪৪টি ওয়ার্ডের ভোট গণনা
প্রচারে বেরিয়ে এবিপি আনন্দকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে কাজরী জানিয়েছিলেন, যাঁর বাড়িতেই গিয়েছে তাঁরাই বাইরে বেরিয়ে এসেছেন। মুখ্যমন্ত্রী ঘরের ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে পারা আনন্দের বিষয় বলেই জানান তিনি। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। প্রত্যেক ঘরে ঘরে সার্বিক পরিষেবাই অগ্রাধিকার। সঙ্গে আদি গঙ্গার ঘাট সংস্কারকেও প্রাধান্য দেওয়া হবে।
এদিকে ভোটের প্রবণতা আসতে শুরু করার পর স্বাভাবিকভাবেই উজ্জীবিত তৃণমূল। ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, বিরোধীরা পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে মানুষের রায়কেই অপমান করতে চাইছেন। তিনি বলেছেন, বিরোধীদের মানুষের কাছে যেতে হবে। তার বদলে তারা সন্ত্রাস-সন্ত্রাস বলে মানুষকে অপমান করছেন। কারণ, কলকাতা পুরভোটে প্রচুর মানুষ ভোট দিয়েছেন। বিরোধীরা মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন। তাই তাঁরা ভোট হয়নির মতো অভিযোগ তুলে জনাদেশকেই অগ্রাহ্য করার চেষ্টা করছেন।
প্রসঙ্গত, বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যেই গত ১৯ ডিসেম্বর সকাল ৭টা থেকে কলকাতা পুরসভার ১৬টি বরোর ১৪৪টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। কলকাতাজুড়ে আটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে প্রতি ঘণ্টায় রিপোর্ট দেওয়ার জন্য DGP ও CP-কে নির্দেশ দেয় কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, মোট ৪ হাজার ৯৫৯টি বুথের মধ্যে ১ হাজার ১৩৯টি উত্তেজনাপ্রবণ বুথ ছিল। স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ছিল ৭৮৬। এর মধ্যে চিনাপাড়া, পার্কস্ট্রিট, ধাপা ও লাগোয়া এলাকা নিয়ে গঠিত ৭ নম্বর বরোয়, সবচেয়ে বেশি, ২৫০টি উত্তেজনাপ্রবণ বুথ বলে চিহ্নিত করা হয়। অন্যদিকে সবচেয়ে কম উত্তেজনাপ্রবণ বুথ ছিল বেহালা, তারাতলা-সহ আশেপাশের এলাকা নিয়ে গঠিত ১৩ নম্বর বরোয়। সেখানে উত্তেজনাপ্রবণ বুথের সংখ্যা ২২।