কলকাতা : বাম হোক বা তৃণমূল জমানা, অক্ষত রেখেছেন নিজের গড়। এবারও সেই ধারাই বজায় রাখলেন কংগ্রেসের সন্তোষ পাঠক। ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতলেন তিনি। ১,৯৫৬ ভোটে জয়ী হয়েছেন সন্তোষ।


২০১০ ও ১৫-র পুরভোটে (Kolkata Municipal Election) কলকাতায় তৃণমূল (TMC) দাপট দেখালেও, তাঁর ওয়ার্ডে থমকে গেছে ঘাসফুলের দৌড়। বাম (Left) জমানাতেও, তাঁকে টলানো যায়নি। সবমিলিয়ে বাম কিংবা তৃণমূলের জমানা। ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁকে টলানো যায়নি। ২০০৫ থেকে ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে অপরাজিত কংগ্রেসের (Congress) সন্তোষ পাঠক (Santosh Pathak)। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে লড়তে নেমে জমানত খুইয়েছেন তৃণমূল থেকে বাম প্রার্থীরা। সন্তোষ পাঠকের(Santosh Pathak) সৌজন্যে ১৫ বছর ধরে কংগ্রেসের গড়ে পরিণত হয়েছে এই ওয়ার্ড। ওয়ার্ড দখল রাখার ব্যাপারে এতটাই নিশ্চিত থাকেন যে, প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার আগেই প্রচারে নেমে পড়েন। 


আরও পড়ুন ; ২২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী মীনাদেবী পুরোহিত


এমনিতেই কলকাতা পুরসভার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড বৈচিত্র্যে ভরা। অফিস পাড়ার বড় অংশ জুড়ে এই ওয়ার্ড। বিভিন্ন ভাষাভাষির মানুষের বাস এখানে। এলাকায় এলাকায় প্রচার করেছেন তিনি। চায়ের দোকানে বসে চলেছে দেদার আড্ডার মাঝেই ভোট প্রার্থনা। প্রচারের ব্যস্ততার ফাঁকে কচি কাঁচাদের সঙ্গে ব্যাট হাতে নেমে ক্রিকেটও খেলেছেন কংগ্রেস প্রার্থী। 


প্রচার পর্বে সন্তোষ পাঠক বলছিলেন, 'এটা অফিসিয়াল এলাকা। রাজভবন এলাকার কোয়ার্টার আছে। কোনও দিন রাজনীতি করব ভেবে আসিনি। সবার কাছে আমি ভাই-দাদা বা ছেলে, কাউন্সিলর নই।' প্রসঙ্গত, ২০০৫ থেকে টানা তিনবার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক।


সন্তোষ আরও বলেছিলেন, 'আমরা কাছে বিজেপি, তৃণমূলের থেকে অফার ছিল, যাইনি। এখানকার মানুষ সন্তোষমুখী, কংগ্রেসের ভোট আছে। আসলে ময়দান এলাকায় থাকি। ফুটবল ক্রিকেট খেলি। জেতা নিয়ে অনিশ্চয়তা নেই। বিরোধীদের জমানত জব্দ হবে।'