অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: কলকাতা পুরসভায় (Kolkata Municipal Corporation) ৭৬ জন কর্মীকে সম্প্রতি বদলি (KMC Transfer) করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কর্মসংস্কৃতির সংস্কারে একাধিক পদক্ষেপের ভাবনা শুরু হয়েছে পুরসভায়। মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) জানিয়েছেন, যে দফতরে কর্মী সংস্খা কম, সেখানে অন্য জায়গা থেকে কর্মীদের বদলি করা হবে। কোন দফতরে কত কর্মী প্রয়োজন, তা ঠিক করতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেছেন ফিরহাদ হাকিম।

  


কী কারণে বদলি


কর্মসংস্কৃতির ঢালাও সংস্কারে একগুচ্ছ পদক্ষেপের ভাবনা কলকাতা পুরসভার।  সূত্রের খবর, বিভিন্ন বিভাগে বদলি করা হবে কর্মীদের।  যেখানে কর্মীর সংখ্যা কম, সেখানে প্রয়োজনীয় কর্মী দেওয়া হবে।  যেখানে কর্মীর সংখ্যা বেশি, সেখান থেকে সরানো হবে বাড়তি কর্মী। 


মেয়র ফিরহাদ জানিয়েছেন, একই পদে বেশিদিন কোনও কর্মীকে রেখে দেওয়ার পক্ষপাতী তিনি নন। কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন দফতরে অনলাইন ব্যবস্থা চালু হয়েছে। ফলে আগের মতো ট্রেড লাইসেন্স বা বিভিন্ন নথির জন্য আর লম্বা লাইন পড়ে না। অনলাইনেই অনেক কাজ হয়। 


আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari Update: পরেশের পরিবারের ৩২ জনকে চাকরি! দাবি শুভেন্দুর, 'নিজের পরিবারের হিসেবটা দিন', পাল্টা কুণাল


তা সত্ত্বেও পুরসভার বেশ কিছু দফতরে ঘুঘুর বাসা রয়েছে, এমন অভিযোগ নতুন নয়। এই পরিস্থিতিতে কর্মসংস্কৃতির সংস্কারে একগুচ্ছ পদক্ষেপের ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে।  কলকাতা পুরসভার মেয়র জানিয়েছেন, কোন দফতরে কত লোক প্রয়োজন, তা নির্ধারণ করার জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হবে।  


এ দিন ফিরহাদ বলেন, "যেখানে লোক কম, সেখানে বাড়তি কর্মীদের অন্য বিভাগ থেকে সরিয়ে বদলি করা হবে। ...আমি চাই না, একই পদে কোনও কর্মী বেশিদিন থাকুন...কোন দফতরে কত কর্মী রাখা প্রয়োজন, তা জানতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হবে।"


কর্মসংস্কৃতিতে জোর!


সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন দফতরে ৭৬ জনকে বদলি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ম্যান পাওয়ার প্লানিংয়ের ওপর জোর দিচ্ছে পুরসভা।  এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দফতরে বদলি প্রক্রিয়া চালু করে কর্মসংস্কৃতির সংস্কারের পথে কীভাবে এগোয় পুরসভা, সেটাই দেখার।