কলকাতা: স্বস্তির খবর দিয়েছে কলকাতা পুরসভাও। আবেদন করলে সম্পত্তি করের ক্ষেত্রে পুরো পেনাল্টি এবং সুদের ৫০ শতাংশ মকুব করা হবে। জানিয়েছেন মেয়র (Mayor Firhad Hakim)। শনিবার পুরসভায় টক টু মেয়রে ফোন করে কর মকুবের আর্জি জানান এক ব্যক্তি। সেই প্রসঙ্গে একথা জানান ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। অন্যদিকে, করোনাকালে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিল সরকার (West Bengal Government)। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত যে কোনও ধরনের রেজিস্ট্রেশনের জন্য স্ট্যাম্প ডিউটি কমল ২ শতাংশ এবং সার্কেল রেট কমল ১০ শতাংশ। সিদ্ধান্ত অর্থ দফতরের, জারি হয়েছে বিজ্ঞপ্তি।


অন্যদিকে, গত পাঁচ মাস ধরে অবসরকালীন সুবিধা ও পেনশনের টাকা পাচ্ছেন না অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। এমন অবস্থায় পুরসভার পেনশন বিভাগে একটি নোটিস নিয়ে বিতর্ক চরমে পৌঁছয়। সেখানে বলা হয়েছিল, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে যে পুরকর্মীরা অবসর নিয়েছেন, পুরসভার তহবিলের সঙ্কটের জন্য তাঁদের অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধা ও পেনশনের টাকা আপাতত দেওয়া যাচ্ছে না। যদিও এই নোটিসের সত্যতা অস্বীকার করেছেন মেয়র।


এদিন টাউন হলে কলকাতার পুরসভার পেনশন বন্ধের নোটিস বিতর্কে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘পেনশন যাঁদের পাওয়ার কথা তাঁরা পাচ্ছেন। যাঁদের পেনশন পাওয়া প্রসেসে আছে, তাঁদের একটু দেরি হচ্ছে। কে নোটিস দিয়েছে, তদন্ত হচ্ছে। ১০০০ কোটি টাকার ক্রাইসিস আছে কলকাতা পুরসভার। কিন্তু তার মানে এই নয় যে পেনশন বন্ধ করে দেব।' 


প্রসঙ্গত, অবসরের পরে বেশ কয়েক মাস কেটে গেলেও পেনশনের টাকা না পেয়ে প্রায়ই সংশ্লিষ্ট বিভাগে এসে দরবার করছেন তাঁরা। পেনশনের টাকা হাতে না পেয়ে বর্তমানে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন অবসরপ্রাপ্তদের অনেকেই। যদিও এর আগেই ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, ‘‘শপথ নেওয়ার এই মুহূর্তে ৭০০ কোটি টাকা ঋণের বোঝা রয়েছে পুরসভার মাথায়।’’ এদিন তিনি বলেন, প্রায় এক হাজার কোটি টাকার সঙ্কট রয়েছে পুরসভায়। আচমকা পেনশন বন্ধে উদ্বেগে পুরসভার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। চিন্তিত ঠিকা কর্মীরাও। কারণ, গত ৮-৯ মাস ধরে তাঁদের প্রাপ্য বকেয়া রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কবে টাকা পাবেন, তা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।