অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (arpita mukherjee) 'ইচ্ছে' বাড়ি নিয়ে তদন্তের (investigation) নির্দেশ দিলেন কেএমডিএ-র (KMDA) চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম (firhad hakim)। পুরসভার নথি অনুযায়ী, ৯৫ নম্বর রাজডাঙা মেন রোডের ঠিকানায় ১০, ১১ ও ১২, এই ৩টি প্লট রয়েছে। এর মধ্যে ১১ নম্বর প্লটে তৈরি হয়েছে 'ইচ্ছে' বাড়ি। অভিযোগ, বাড়িটির দু’দিকে ১০ ও ১২ নম্বর প্লট পুরসভার রেকর্ডে ফাঁকা জমি হিসেবে নথিভুক্ত থাকলেও ওই দুটি প্লটেও বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। এতেই শেষ নয়। অভিযোগ বাড়িটিতে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হলেও সাধারণ বাড়ি হিসেবেই পুরসভাকে কর দেওয়া হয়েছে। ফলে এবার অর্পিতার বিরুদ্ধে বাড়ির কর ফাঁকি ও অবৈধ নির্মাণের অভিযোগও উঠল।


কী অভিযোগ?
তৈরির সময় বাড়িটিকে বাসভবন হিসেবে দাবি করা হয়। কিন্তু অভিযোগ, পরে সেখান থেকে প্রোডাকশন হাউস-সহ নানা বাণিজ্যিক কাজকর্ম চলেছে। অভিযোগ সত্যি হলে পুরসভা প্রাপ্য কর থেকে বঞ্চিত হয়েছে। গোটা বিষয়টি গত আট বছর ধরে চলে আসছিল বলে খবর। তা ছাড়া অভিযোগ, ১১ নম্বর প্লট লাগোয়া বাকি দুটি প্লট খালি দেখানো হলেও পরে সেখানেও বাড়ি ওঠে। অর্থাৎ এখানেও নিয়ম মানা হয়নি। সবটা খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেএমডিএ। কারণ জমির আসল মালিক ছিল তারাই। প্রথমে সেটি পার্থ চট্টোপাধ্যায় পান, তার পর তা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে হস্তান্তর হয়। 


কী বললেন ফিরহাদ? 
কেএমডিএর চেয়ারম্যান জানালেন, সবটা দেখে বড় করে বোর্ড লাগাতে হবে। তাতে লেখা থাকবে, এই সম্পত্তি কেএমডিএ-র। এবং সত্যি গোটা বিষয়টি আইনবিরুদ্ধ প্রমাণিত হলে বাড়ি-সহ জমি নেওয়া হবে, জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। এ ব্যাপারে হাইকোর্টের নির্দেশের কথাও বলেন তিনি। 


অপা-র দলিল: 
পাশাপাশি শান্তিনিকেতনের প্রান্তিকের ফুলডাঙার 'অপা' বাড়িটি নিয়েও চর্চা তুঙ্গে। তার দলিল হাতে পেয়েছে এবিপি আনন্দ। দেখা যাচ্ছে, ২০১২ সালে ওই জমি কিনেছিলেন পার্থ-অর্পিতা। কিন্তু ২০২০ সালে শুধু অর্পিতার নামে সেটি রেকর্ড হয়। সব মিলিয়ে যত দিন যাচ্ছে, ঘনাচ্ছে রহস্য।  


আরও পড়ুন:"তোমায় প্রমাণ দিতেই হবে, বিক্রি তুমি হওনি", নিয়োগ-দুর্নীতিতে বিশিষ্টদের ভূমিকায় প্রশ্ন রুদ্রনীলের