কলকাতা: কারিগরি ভবনের সামনে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের বিক্ষোভ। ৬-৭ মাস বেতন না মেলার অভিযোগে বিক্ষোভ। অবিলম্বে স্থায়ীকরণের দাবিতেও বিক্ষোভ আন্দোলনকারীদের
পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি চুক্তিভিত্তিক কারিগরি শিক্ষকদের। গাড়ির নীচে শুয়ে বিক্ষোভ, টেনে-হিঁচড়ে বের করল পুলিশ। 


বিজেপির শিক্ষক সেলের বিকাশভবন অভিযানকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি উত্তেজনা ছড়ায় করুণাময়ীতে। বিকাশভবন যাওয়ার পথে তাঁদের আটকায় পুলিশ। এরপরই উত্তেজনা ছড়ায়। এদিকে, সিপিএমের ছাত্র-যুব এবং মহিলা সংগঠনের জেলা শাসকের দফতর অভিযানে উত্তেজনা ছড়ায় কোচবিহারে (Coochbehar)।                 


দিকে দিকে বিক্ষোভ। চাকরির দাবিতে যেদিন কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিলেন SLST-র চাকরিপ্রার্থী...সেদিনই, কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হলে, পরিবারের একজনকে চাকরি দিতে হবে, এই দাবিতে সল্টলেকে আচার্য সদনের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রুপ সি-র চাকরিপ্রার্থীরা। 


আর এক মধ্যেই, বিজেপির শিক্ষক সেলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল করুণাময়ীতে। স্কুলে স্বচ্ছ নিয়োগ থেকে কেন্দ্রীয় হারে DA-সহ সাত দফা দাবিতে মঙ্গলবার পথে নামলেন বিজেপির শিক্ষক সেলের সদস্যরা। 


করুণাময়ী মোড়ে জমায়েত করে, বিকাশভবন অভিযান শুরু করেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। যে পথে মিছিল যাওয়ার কথা, সেখানে গার্ডরেল বসিয়ে, পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশ মিছিল আটকালে, উত্তেজনা ছড়ায়। গার্ডরেল ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপির শিক্ষক সেলের সদস্যরা।        


পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তিও হয়। বিজেপির শিক্ষক সেলের নেতা পিন্টু পাড়ুই-এর কথায়, দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতিপরায়ণ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই। প্রশিক্ষিতদের স্বচ্ছভাবে নিয়োগ করতে হবে। হেলথ স্মিং চালু করতে হবে।


পুলিশ ব্যারিকেড করে মিছিল আটকালে, করুণাময়ীতে সভা করেন বিজেপির শিক্ষক সেলের সদস্যরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা এবং কলকাতা পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ।


পরে, বিজেপির শিক্ষক সেলের ৪ জন সদস্য বিকাশ ভবনে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেয়।
এদিকে, কর্মসংস্থান, নারী সুরক্ষা-সহ নয় দফা দাবিতে মঙ্গলবার, সিপিএমের ছাত্র-যুব এবং মহিলা সংগঠনের জেলা শাসকের দফতর অভিযানে উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহারে। 



কোচবিহার শহরে সিপিএমের পার্টি অফিসের সামনে থেকে শুরু হয় মিছিল।
জেলা শাসকের দফতরের সামনে পৌঁছতেই, মিছিল আটকায় পুলিশ। ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান সিপিএমের কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়। পরে, সিপিএমের ছাত্র-যুবদের একটি প্রতিনিধি দল গিয়ে, জেলা শাসকের দফতরে স্বারকলিপি জমা দেয়।