কলকাতা: করোনা রোগীর (Covid-19) চিকিত্সায় অনিয়ম ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগে কলকাতার (Kolkata) একটি হাসপাতাল ও একটি নার্সিংহোমকে জরিমানা করল স্বাস্থ্য কমিশন। দুর্ব্যবহারের জন্য রোগীর আত্মীয়ের কাছে লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইবারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমিশনের (Health Commission) নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, সিআইটি রোডের হরাইজন লাইফ লাইন নার্সিংহোম দীপ্তি ভট্টাচার্য নামে ওই রোগিণীকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের সময় চিকিত্সা সংক্রান্ত নথি ও ডিসচার্জ সামারি সঠিকভাবে দেয়নি।
রোগিণীর করোনা পরীক্ষার রিপোর্টও ৭ দিন বাদে দেওয়া হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই নার্সিংহোমকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে স্বাস্থ্য কমিশন। অন্যদিকে, করোনায় মৃত রোগী অলক ঘোষের পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও বকেয়া বিলের কারণ দেখিয়ে রোগীর মৃতদেহ আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে আলিপুরের CMRI হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৫০ হাজার জরিমানা ও হাসপাতালের সিইও-কে মৃত রোগীর পরিবারের কাছে লিখিতভাবে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন। নার্সিংহোম ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নির্দেশনামা খতিয়ে দেখে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
আরও পড়ুন: Purba Bardhaman: ফ্যান থেকে ঝুলছে শাড়ি, বিছানায় ছাত্রের অগ্নিদগ্ধ দেহ
অন্যদিকে গুরুতর অসুস্থ শিশুকে (Critically Ill Child) নিয়ে রাতভর এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ঘুরতে হল মা-বাবাকে। পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করলে, ভোররাতে শেষ পর্যন্ত এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) শিশুটিকে ভর্তি করা সম্ভব হয়।
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের বাসিন্দা ওই পরিবার। জানা গিয়েছে, গতকাল বিকেল ৫টা নাগাদ সাড়ে তিন বছরের শিশুটিকে কুকুরে কামড়ায়। তার মাথায় কামড় বসায় কুকুরটি (Dog Bite)। এত জোরে কামড় বসায় যে, মাথার একাংশ খুবলে তুলে নেয়। সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে নিয়ে বসিরহাটের স্থানীয় হাসপাতালে ছুটে যান পরিবারের লোকজন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর শিশুটিকে কলকাতার এসএসকেম হাসপাতালে রেফার করা হয়।
সেই মতো শিশুটিকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন পরিবারের লোকজন। কিন্তু কলকাতায় এসে পৌঁছলেও এসএসকেএম হাসপাতালে শয্যা পাওয়া যায়নি। এর পর নীলরতন হাসপাতালে ছোটেন শিশুটির মা-বাবা। কিন্তু সেখানেও সন্তানকে ভর্তি করতে পারেননি তাঁরা। তাতে হন্যে হয়ে ঘুরতে থাকেন তাঁরা। এতে শিশুটির শারীরিক অবস্থারও অবনতি হতে থাকে। আজ ভোরে অবশেষে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা সম্ভব হয়েছে।