রানা দাস, কাটোয়া: বাড়িতে নিজের ঘর থেকে উদ্ধার হল একাদশ শ্রেণির ছাত্রের অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ (Charred body)। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) কাটোয়ার (Katwa) মাধবীতলায়। মৃত পড়ুয়া আত্মহত্যা (Suicide) করেছে না অন্য কোনওভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ (Cops)। 


স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেলে কাটোয়ার মাধবীতলা অঞ্চলে একটি বাড়ি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। ছুটে আসেন আশেপাশের বাড়ির লোকজন। সবাই মিলে আগুন নেভোনার চেষ্টা করেন। খবর দেওয়া হয় দমকলে। স্থানীয় থানাতেও খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থবে পৌঁছন পুলিশকর্মীরা। এরপর ঘরের দরজা ভেঙে ওই ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।


আরও পড়ুন স্কুলে ক্লাসরুম থেকে উদ্ধার গলায় ফাঁস দেওয়া মৃতদেহ, গড়বেতায় শিক্ষকের মৃত্যুতে রহস্য


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম করণ সাহা। সে কাটোয়ার ভারতী ভবন বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের গইসবাদ গ্রামে তার বাড়ি। সে পড়াশোনার জন্য কাটোয়ায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে একাই থাকত। তার মৃত্যু নিয়ে পরিবারের লোকজন কিছুই বলতে পারছেন না। 


এই ছাত্রের মৃত্য়ুর ঘটনায় কয়েকটি বিষয় তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে। মৃতদেহটি যখন উদ্ধার করা হয়, তখন দেখা যায়, বিছানায় পড়ে আছে অগ্নিদগ্ধ দেহটি। অথচ ঘরে পাখা থেকে ঝুলছে শাড়ি। করণ যদি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করারই চেষ্টা করে, তাহলে আবার কী করে আগুনে পুড়ল তার শরীর, এই প্রশ্ন ভাবিয়ে তুলেছে তদন্তকারীদের। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে তবেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।


এদিকে, গত মাসেই মালদার মানিকচক থানার অন্তর্গত শেখপুরা পূর্বপাড়ায় বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় এক মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার স্বামী শেখ সাজুদ পেশায় শ্রমিক। ভিনরাজ্যে কর্মরত তিনি। ছেলে মহম্মদ রফিকুল ইসলাম পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। ঘটনার রাতে দু’জনের কেউই বাড়িতে ছিলেন না। তখনই ওই মহিলাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের।