কলকাতা : প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে (Bantala Leather Complex) চামড়ার ব্যাগের কারখানায় আগুন নিয়ন্ত্রণে (Fire is Under Control) আনা গেল। সকাল ৭টা পর্যন্ত চলে কুলিংয়ের কাজ। কারখানার দোতলা, তিনতলা ও চারতলার বেশিরভাগ অংশ ভস্মীভূত হয়ে গেছে। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে কারখানায় মজুত থাকা সামগ্রী।
দীপাবলির দুপুরে অগ্নিকাণ্ড-
দীপাবলির দিন দুপুর ২টো নাগাদ বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে বিধ্বংসী আগুন লাগে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন। আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়।
দমকল সূত্রে খবর, ছাদে আটকে পড়েছিলেন ১১ জন। তাঁদের প্রত্যেককেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়। চর্মনগরীর জোন ৫-এ কারখানা ও গুদাম মিলিয়ে বিরাট এলাকায় আগুন লাগে। পাঁচ তলা ভবনের বিস্তীর্ণ অংশে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, কোনও ভাবে বাজি থেকে এই অগ্নিকাণ্ড শুরু হয়ে থাকতে পারে। তবে এখনও আগুন লাগার কারণ স্পষ্ট নয়। অগ্নিকাণ্ডের ফলে তীব্র উত্তাপ ছড়ায় এলাকায়। সঙ্গে কালো ঘন ধোঁয়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মরিয়া চেষ্টা করে দমকল।
জানা যায়, লেদার কমপ্লেক্সের ওই কারখানা ও গুদামের গ্রাউন্ড ফ্লোরে আগুন লাগে। ওই ফ্লোরে প্যাকেজিংয়ের কাজ হত। চামড়ার ব্যাগ তৈরি হত সেখানে। দাহ্য রাসায়নিক কিছু রাখা ছিল ওই ফ্লোরে। ফলে, আগুন ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে। দোতলা থেকে পাঁচ তলা পর্যন্ত ছিল চামড়ার ব্যাগ তৈরির ইউনিট। সম্ভবত সে কারণেই হুড়মুড়িয়ে ছড়াতে থাকে আগুন। দমকল সূত্রে খবর, প্রত্যেকটি ফ্লোর প্রায় কয়েক হাজার বর্গকিলোমিটারের। দমকলকর্মীরা জানলা ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করেন। দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন নিরলস পরিশ্রম করে যায়। স্বয়ং দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Basu) ঘটনাস্থলে আসেন। তবে প্রধানত দুটি কারণে এই অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে অসুবিধা হয়। এক, দমকা বাতাসের জন্য আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে অতি দাহ্য পদার্থও ছিল।
প্রসঙ্গত, দিনদুয়েক আগে কলকাতারই চেতলা এলাকার একটি আবাসনে আগুন লেগেছিল। ধনশ্রী এনক্লেভের চার তলার ফ্ল্যাটে ওই আগুনের ঘটনায় উদ্বেগ ছড়ায়। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল। তবে আশঙ্কা ছিল আশপাশের ফ্ল্যাটেও আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আরও পড়ুন ; ৮ ঘণ্টা পেরিয়েও আগুন নেভেনি বানতলা চর্মনগরীতে