ঐশী মুখোপাধ্যায়, প্রকাশ সিনহা, কলকাতা :  কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে চারিদিক। দাউ দাউ আগুন আনন্দপুরের গুলশন কলোনিতে । শহরের অন্যতম ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকা আনন্দপুরের গুলশন কলোনি। জানা যাচ্ছে, বাড়ির নীচের তলায় রঙের গুদাম থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সূত্রের খবর, দোতলা থেকে কোনওমতে বাসিন্দাদের নামিয়ে আনা হয়েছে।

Continues below advertisement

আনন্দপুরের এই এলাকা ঘন জনবসতিপূর্ণ । তাই আগুনের জেরে দেখা দিয়েছে প্রবল আতঙ্ক। পাশের নির্মীয়মাণ বহুতলেও আগুন লেগেছে বলে জানা গিয়েছে।  ঝলসে কালো হয়ে গিয়েছে বাড়িটি। একের পর এক দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও পর্যন্ত নেই। 

 ভিতরে প্রচুর দাহ্য বস্তু থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। এক ঘণ্টা ধরে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন দমকল কর্মীরা। কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে আকাশ। পাশেই দোকান, বসতি থাকায় বাড়ছে দুশ্চিন্তা।  কিন্তু আগুন লাগল কীভাবে? তবে কি গুদামে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় কোনও গাফিলতি ছিল? গোটাটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।             

Continues below advertisement

গত বছরও আনন্দপুরে অগ্নিকাণ্ড

গত ২০২৪ সালে আনন্দপুরে বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে যায় ৫০-টিরও বেশি ঝুপড়ি। মাথার ওপর ছাদ হারায় বহু পরিবার। কেউ কেউ শেষ সম্বলটুকু খুইয়ে ফেলেন। একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা।  দমকা হাওয়া আর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের জেরে আগুন নেভাতে যখন হিমশিম খেয়েছিলেন দমকল কর্মীরা, তখন আনা হয় রোবট। দমকলের ১০টি ইঞ্জিনের ঘণ্টাদুয়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুড়ে খাক হয়ে যায় গৃহস্থালির জিনিস থেকে শুরু করে টাকাকড়ি, সোনাদানা। 

হালফিলে এজরা স্ট্রিটে ভয়াবহ আগুন                   

গত মাসেও কলকাতা শহরে ভয়াবহ একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে । সাত সকালে এজরা স্ট্রিটে একটি বৈদ্যুতিন সামগ্রীর দোকানে আগুন লাগে। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকলে। ঘটনাস্থলে দমকলের ২০ টি ইঞ্জিন পৌঁছয়। দোকানের ভেতর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে ভয়াবহ আকার নেয় গোটা এলাকায়। আগুনের গ্রাসে চলে যায় পাশের বহুতল। কালো ধোঁয়ায় ঢাকে আকাশ। 

অগ্নিকাণ্ডে রাশ টানতে রাজ্যস্তরে কমিটি গঠন করেছে নবান্ন। বৈঠক হয়েছে পুরসভাতেও। আগুন নিয়ন্ত্রণে নানা প্রস্তাব-পরামর্শ উঠে এসেছে। তারপরও শহরে অগ্নিকাণ্ড লেগেই আছে।