কলকাতা : গুলশন কলোনিতে অস্ত্র হাতে তাণ্ডবের ঘটনায় আজ চার দিন। চার দিন পরেও ফেরার মূল অভিযুক্ত ফিরোজ খান ওরফে মিনি ফিরোজ। অথচ ফেসবুকে সে সক্রিয়। প্রায় প্রতিদিনই আসছে নতুন নতুন পোস্ট। খোদ কাউন্সিলরকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে ভিডিও পোস্ট করছে ফিরোজ। তাকে খুঁজে পেয়েছে এবিপি আনন্দও। শুধু মিনি ফিরোজকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। কেন পুলিশ ধরতে পারছে না ফিরোজকে ? এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও চরমে।
এ প্রসঙ্গে পুর-নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "এদের গ্রেফতার হওয়া উচিত। এর সভ্য সমাজের মানুষ নয়। এদের জেলের ভিতরে থাকা উচিত। ঠিক, এত পুলিশ নেই যে প্রতিটা গলিতা, গলিতে পুলিশ দাঁড় করিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু, আদালতের কাছে এসে, আদালত যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়, তাহলে একজনকে শাস্তি দিয়ে, অন্য মানুষ ভয় পাবে, অপরাধ করতে ভয় পাবে।" আক্রমণ শানিয়ে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, "Enough is Enough, It's time to Act, তিন-চার লাইন ইংরাজি বলে হয়ে গেল ? আপনার সহকর্মী ..আপনার বোরো চেয়ারম্যানের নামের আগে চন্দ্রবিন্দু যোগ হয়ে যেত, যদি বন্দুকটা কাটমানির না হত।"
মিনি ফিরোজ এখনও ফেরার। গুলশন কলোনিতে অস্ত্র হাতে তাণ্ডবের চার দিন পরও মূল অভিযুক্ত ফিরোজ খান ওরফে মিনি ফিরোজকে ধরতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের দাবি, সে পলাতক। এদিকে ফেসবুকে একের পর এক রিল-ভিডিও পোস্ট করে চলেছে ফিরোজ!ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে মিনি ফিরোজ বলেছে, এখনও পর্যন্ত আমার শান্ত রূপ দেখেছেন। আশা করব, আমার রুদ্র রূপ যেন দেখতে না হয়। অন্যথা জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আফসোস করতে হবে। পুলিশ যাকে খুঁজে পাচ্ছে না, এবিপি আনন্দে সাক্ষাৎকার দিয়ে সে নিজেই নিজের অবস্থান জানিয়েছে। ফিরোজ খান (মিনি ফিরোজ) বলে, বড় ভাই রয়েছেন, তাঁর নাম মহম্মদ আনওয়াজ খান। আমাকে এক সপ্তাহ, দশদিন আগে ফোন করেছিল, বলল যে আমি বিহার যাব ১১ তারিখ। তোমার তো কাজ রয়েছে, তুমি যাবে ? আমি পালিয়ে যাইনি। কিছু কাজে এসেছিলাম। সেই কাজ হয়নি। আমার কাজ হয়ে গেলে কলকাতা চলে আসব।
পুলিশের খাতায় পলাতক অভিযুক্ত, রীতিমতো হুমকি-হুঁশিয়ারিও দিচ্ছে কাউন্সিলরকেও। ফিরোজ খান (মিনি ফিরোজ) বলে, সুশান্ত কুমার ঘোষ যে আমাকে অ্যান্টি সোশাল বলছে, মনে আছে কিছু? ভোটের সময় অ্যান্টি সোশালকে নিয়ে ঘুরতেন আপনি। আমার সঙ্গে সোজা কথা বলবেন আমি সোজা। বাঁকা কথা বললে আমি ভীষণ বাঁকা। অনেক ব্যাপার আছে। আমার পিছনে কলকাঠি নাড়লে, ফাইল তৈরি করে রেখেছি, আমি জানি কোথায় কোথায় দিতে হবে। এই জন্য না, আমার পিছনে লাগবেন না।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে, পুলিশের উপর থেকে কি ক্রমশ ভয়ডর চলে যাচ্ছে ?