প্রকাশ সিন্হা, কলকাতা:  সাড়ে ৪ ঘণ্টা ধরে থাকার পর অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল। সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখার পর অনুব্রতকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত চিকিত্সকদের। ইকো, ইসিজি, নিউক্লিয়ার স্ট্রেস টেস্ট হয়েছে অনুব্রতর, খবর হাসপাতাল সূত্রে। রিপোর্ট দেখার পর অনুব্রতকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, খবর হাসপাতাল সূত্রে। এর আগে আজ সকালে বুকে ব্যথা অনুভব করায় অনুব্রতকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।


আজ সকালে বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল (TMC) জেলা সভাপতিকে নিয়ে যাওয়া হয় অ্যাপোলো হাসপাতালে (Apollo Hospitals)। হুইল চেয়ার করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গতকাল রাতে অনুব্রত বুকে ব্যথা অনুভব করেন, খবর সূত্রের। রাতে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতোই তাঁকে আনা হয়েছে হাসপাতালে।


২১ মে পর্যন্ত সিবিআইয়ের কাছে সময় চেয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তার আগেই, আজ ফের হাসপাতালে যান বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। তবে কয়েকটি পরীক্ষার পর তাঁকে অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সিবিআই দফতরে হাজিরার দিনই গত ৬ এপ্রিল অনুব্রত মণ্ডল ভর্তি হয়েছিলেন SSKM হাসপাতালে। ১৬ দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি চলে যান তাঁর চিনার পার্কের বাড়িতে। 


গতকাল রাতেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন:  সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ হাসপাতালে পৌঁছন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। হাসপাতাল সূত্রে খবর,  চিকিৎসকরা তাঁকে দেখছেন। গতকাল রাতেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন অনুব্রত। তখনই চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ডাক্তাররা তাঁকে আজ সকালে হাসপাতালে আসতে বলেন। তাঁদের পরামর্শ মতোই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় অনুব্রতকে। তারপর চিকিত্‍সকের পরামর্শমতো এদিন সকাল ৮টা ৫০ নাগাদ চিনার পার্কের বাড়ি থেকে বেরোন তিনি। তবে সে সময় সাংবাদিকদের কিছু বলতে চাননি। 


চিকিৎসকেরা আপাতত তাঁকে দেখছেন। করা হবে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা (Examination)। কোথাও কোনও ব্লকেজ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। দুটো গাড়ি করে তিনি এসেছেন। সঙ্গে ছিল পুলিশের গাড়ি। গাড়ি থেকে নেমে দশ পা হাঁটার পর তাঁর শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এরপরই তাঁকে হুইলচেয়ারে (Wheel Chair) করে তাঁকে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। 


৯টা ২০ নাগাদ বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতিকে আনা হয় অ্যাপোলো হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। করা হয় ইকো ও ইসিজি। এর পর বিশ্রাম বা হাঁটা চলার সময় হৃদযন্ত্রে কত পরিমাণে রক্ত যাচ্ছে তা নির্ণয়ের জন্য করা হয় নিউক্লিয়ার ট্রেস টেস্ট। সেই সব রিপোর্ট দেখেই সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর এই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি।