কলকাতা: ঘোষণা হয়ে গিয়েছে আগেই। সেই মতো শীঘ্রই বারাণসীর ধাঁচে কলকাতায় শুরু তেহ চলেছে গঙ্গা আরতি। গঙ্গা আরতির জন্য কলকাতার বাবুঘাটকে চিহ্নিত করেছে কলকাতা পুরসভা। এই ঘাটেই দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জন হয়। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে গঙ্গা আরতির প্রস্তুতি। পুরসভা জানিয়েছে, গঙ্গা আরতির গ্রাফিকাল ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে। গঙ্গামূর্তি ও যে প্রদীপ দানি ব্যবহার করা হবে, তা নির্বাচনও হয়ে গিয়েছে।


বারাণসীর ধাঁচে কলকাতায় গঙ্গা আরতি করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরই মেয়র ফিরহাদ হাকিম ঘাট পরিদর্শনে যান। মেয়র পারিষদ তারক সিংহও ঘাট পরিদর্শনে যান। সব দেখে বাবুঘাট এবং মিলেনিয়াম পার্ক -৩ ঘাট দু’টিকে বেছে নেওয়া হয়। তবে শেষ মেশ বাবুঘাটেই সিলমোহর দিল কলকাতা পুরসভা। ফাঁকা অবস্থায় ঘাটটিকে কেমন দেখতে হবে, আরতির সময় দেখতে কেমন লাগবে, তার একটি গ্রাফিক ডিজাইনও তৈরি হয়ে গিয়েছে। তাতে ঠিক হয়েছে, গঙ্গার দিকে মুখ করে আরতি হবে। পুরোহিতদের পিছনে বসবেন সাধারণ মানুষ।




গঙ্গাদেবীর একটি মূর্তিও চূড়ান্ত করে ফেলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যে প্রদীপদানে আরতি হবে, নানা ওজনের প্রদীপদানও বাছাই করা হয়ে গিয়েছে। তার কোনওটির ওজন তিন কেজি, কোনওটির দুই কেজি, কোনওটির আবার এক কেজি। মেয়র পারিষদ তারক সিংহ সেগুলি বাছাই করেছেন। আগামী সপ্তাহে দুই সংস্থা নিজেদের ডিজাইন কলকাতা পুরসভার কাছে জমা দেবে। পছন্দ অনুযায়ী তার মধ্যে একটিকে বরাত দেওয়া হবে।


সব ঠিক থাকলে আর কিছুদিনের মধ্যেই এই কাজ শুরু হবে। ঘাটের যে কাজ রয়েছে, যেমন, টাইলস পাল্টানো, ঘাট পরিষ্কার, শীঘ্রই তা শুরু করে দিতে উদ্যত কলকাতা পুরসভা। তার পর কলকাতাতেও বারাণসীর ধাঁচে গঙ্গা আরতি হবে। বাবুঘাটকে সেই মতো তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে। আর কিছু দিনের মধ্যেই অভিনব অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে হলেছেন কলকাতাবাসী।


সম্প্রতি মমতা কলকাতার ঘাটগুলিতে বারাণসীর ধাঁচে গঙ্গা আরতির ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, "আমি চাই গঙ্গা আরতির একটা জায়গা আমাদের হোক। উত্তরপ্রদেশে যেমনন গঙ্গা আরতি হয়, দেখতে হবে, যেখানে লোক পড়ে যাবে না, দেখতে হবে। সব ব্যবস্থা করেই এগোতে হবে, তাতে দুই বছর সময় লাগলে লাগুক।"