হিন্দোল দে, কলকাতা : বাঁশদ্রোণীর (Basnshdroni) এইচ এল সরকার রোডে ভস্মীভূত হয়ে গেল সুতোর কারখানা (Thread Factory)। দাহ্য বস্তু থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের ৩টি ইঞ্জিন প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
কলকাতায় ফের অগ্নিকাণ্ড। ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত সুতোর কারখানা। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ, বাঁশদ্রোণীর এইচ এল সরকার রোডে একটি সুতোর কারখানায় আগুন লাগে। দাহ্য বস্তু থাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। ভস্মীভূত হয়ে যায় পুরো কারখানা। ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় কাউন্সিলর ও বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন গিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও ততক্ষণে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে কারখানা।
কীভাবে আগুন লেগেছে তা স্পষ্ট নয়। তবে দমকলের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে বা কারখানায় থাকা ফার্নেস থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে। ঘন জনবসতি এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। ১১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোপাল রায় বলেছেন, এর আগেও আগুন লেগেছিল। কেন বারবার আগুন লাগছে তা নিয়ে কথা বলব। গতকালই লেক গার্ডেন্সের একটি গোডাউনে আগুন লাগে, ঘটনাস্থলে দমকলের ৬টি ইঞ্জিন পৌঁছে কয়েক ঘণ্টার প্রয়াসে তা নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন- নোনাপুকুর ট্রাম ডিপোর কাছে যাত্রীবোঝাই চলন্ত ট্রামে আগুন
এদিনই মালদার (Malda) কালিয়াচক থানার চৌরঙ্গী এলাকার ফল বাজারে বিধ্বংসী আগুন লাগে। বুধবার ভোররাতে আগুন লাগার ফলে পুড়ে ছাই পড়ে গিয়েছে প্রায় ২৫টি ফলের দোকান। বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির কথা জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। কী কারণে এই অগ্নিকাণ্ড, তার তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ভোর রাতে কালিয়াচক থানার চৌরঙ্গী এলাকার ফল বাজারে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ওই এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের এক পাশে রয়েছে এই ফল বাজার। ভয়ঙ্কর এই অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ২৫টি ফলের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তার সঙ্গে ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন যে, এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাঁরা। ঠিক কী কারণে আগুন লাগে ফলের দোকানগুলিতে, সে সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।