কলকাতা: শরীর ভাল রাখতে মাঝে মাঝে উপোস করেন অনেকে। শারীরবৃত্তীয় কাজ ঠিকমতো চালাতে, শরীরের পাচনপ্রক্রিয়া ঠিক রাখতে অনেক বিশেষজ্ঞই  উপোসের পরামর্শও দেন। ইদানিং শুরু হয়েছে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের (intermittent fasting) চলও। দিনের নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়া এবং বাকি সময়ে উপোসের একটি বিশেষ পদ্ধতিকে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং বলে। যদিও ওই সময়টা জল, চা বা কফির মতো পানীয় খাওয়া যায়। টানা উপোসের মাঝে হঠাৎ করে যে কোনওখাবার খাওয়া ঠিক নয়। শরীর ভাল রাখতে নজর দিতে হয় খাবারের ধরনেও। উপোসভঙ্গ করতে অথবা উপোসের মাঝে কী খাবেন? রইল তারই খোঁজ।


জল
পরিমিত পরিমাণে জল খেতে হবে। শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া ঠিকমতো চালাতে প্রধান উপাদান জল। ত্বক, লিভার থেকে কিডনি-সব কিছুর স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় জল। বয়স, ওজন, উচ্চতা এরকম নানা বিষয়ের উপর নির্ভর করে কার কতটা জল খাওয়া উচিত। 


নানা ধরনের মাছ
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং প্রচুর প্রোটিন রয়েছে মাছে। সামুদ্রিক মাছে রয়েছে একাধিক প্রয়োজনীয় খনিজপদার্থ। মাছ থেকে যে পরিমাণ পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় তার মাধ্যমে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ে প্রয়োজনীয় পরিপোষক পায় শরীর। 


কপিজাতীয় সব্জি
ফুলকপি থেকে বাধাকপি কিংবা ব্রকোলি। প্রয়োজন এমন সব্জির। কারণ এই ধরনের সব্জিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার (fiber) রয়েছে। যা অন্ত্রের কাজ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে পাচনপ্রক্রিয়া নিয়েও কোনওরকম সমস্যা হয় না। তাছাড়া ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে পেট ভর্তিও থাকে অনেকক্ষণ।


আলু
আলু প্রয়োজনীয় তবে আলুভাজা বা চিপসের রূপে নয়। প্রচুর শর্করা থাকায় সুগারের রোগীদের জন্য আলু ভাল নয়। কিন্তু তা নাহলে আলুর মতো শর্করা সমৃদ্ধ সব্জি অনেকক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে এবং প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করতে সাহায্য করে। 


ডালজাতীয় শস্য
বিন বা কড়াইশুঁটি জাতীয় সব্জি উপবাস প্রক্রিয়ার মধ্যে পেট ভরাতে সাহায্য করে। তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগানও দেয়। এছাড়া উপবাস ভাঙার সময় পাতে রাখা যায় বিভিন্ন ধরনের ডালজাতীয় শস্য।


বেরিজাতীয় ফল
যেকোনও বেরিজাতীয় ফলে নানা ধরনের পরিপোষক থাকে। ব্লু বেরি, ব্ল্যাকবেরি বা আঙুর। উপকার মেলে সবেতেই। বেরি জাতীয় ফলে থাকে অ্যান্টি অক্সিড্যান্টও।


ডিম
প্রোটিন তো বটেই ক্যালসিয়ামের উৎস ডিম। উপবাস ভাঙার সময় বা  ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের মাঝে ডিম রাখতেই হবে। পেট ভরানোর পাশাপাশি মাংসপেশির পুষ্টির কারণেই ভরসা রাখা উচিত সেদ্ধ ডিমের উপর। 


বাদাম
পেট ভর্তি রাখতে বাদাম খান। ক্যালোরিমাত্রা অনেকটাই বেশি। তার সঙ্গে ভাল ফ্যাটও থাকে বাদামে। আমন্ড থেকে আখরোট কিনা সাধারণ চিনাবাদাম উপকার মেলে সবকিছুতেই।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।