অনির্বাণ বিশ্বাস, প্রবীর চক্রবর্তী ও সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা: মেলা নিয়ে তুমুল সংঘর্ষ। মঙ্গলবার রাতে বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল বেহালার চড়কতলা। চড়কমেলাকে কেন্দ্র করে দুই পাড়ার মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের অভিযোগ। খোদ কলকাতা শহরে চড়কমেলাকে কেন্দ্র করে বেহালায় সংঘর্ষ, গুলি। 


কী অভিযোগ:
বেহালার চড়কতলায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদে দু’ দফায় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন। অন্তত ১০টি গাড়ি, বেশ কয়েকটি বাইক ভাঙচুর করা হয়। ভাঙা হয় স্থানীয় তৃণমূল পার্টি অফিসের সিসি ক্যামেরা, জানলার কাচ। স্থানীয়দের অভিযোগ, গতকাল সন্ধেয় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে। মারধর করা হয় ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের দুই যুব তৃণমূল কর্মীকে। দু’ পক্ষের মধ্যে ইট-বোতল ছোড়াছুড়িও হয়। বেহালা থানার পুলিশের সামনেই গুলি চলে বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ যে কয়েকটি বাড়িতে ঢুকেও হামলা চালানো হয়। পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর হয়েছে। ভেঙেছে পুলিশের গাড়ির কাচ। একটি স্কুলের পুলকারও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বাড়ির ভিতর ঢুকে ভাঙচুর করা হয়েছে। স্থানীয় একটি আবাসনের ভিতরে যত্রতত্র পড়ে রয়েছে ইট। এক মহিলাকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ।   


অবরোধ:
মঙ্গলবার রাতের ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে বেহালার মুচিপাড়া রোড অবরোধ করেন যুব তৃণমূল কর্মীরা। আধঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ।


তৃণমূলের দাবি
স্থানীয় তৃণমূল নেতার দাবি, যারা হামলা চালিয়েছে তারা পুরনো সিপিএম কর্মী। এখন তৃণমূল করেছে। ওরাই মারপিট করেছে বলে দাবি ওই নেতার।


সিপিএমের পাল্টা:
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন সাত দিনের মধ্যে অস্ত্র উদ্ধার করা হবে। খাস কলকাতা শহরেই যে অস্ত্র উদ্ধার হয়নি তা প্রমাণ হয়ে গেল। তৃণমূলের দখলদারির জন্য মানুষকে বিপদে পড়তে হচ্ছে।' 


বিজেপির কটাক্ষ:
জেলায় জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে মারামারি চলছে। চড়কতলাতেও এমনই হয়েছে, প্রতিক্রিয়া বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


আরও পড়ুন: জলঙ্গি-বহরমপুর রাজ্য সড়কের ওপর বাইক ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, মৃত ১