হিন্দোল দে, কলকাতা: সাতসকালে কলকাতায় উদ্ধার রক্তাক্ত দেহ। গল্ফগ্রিন থানার বিজয়গড়ের কাছে উদ্ধার হয়েছে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ। দেহের গলা, মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। প্রাথমিক তদন্তে ওই ব্যক্তি খুন হয়েছেন বলেই অনুমান পুলিশের। ঘটনাস্থলে গল্ফ গ্রিন থানার পুলিশ। বিজয়গড় এলাকায় দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।


বিজয়গড়ের একটি বাড়িতে ফাঁকা জায়গায় এই দেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরনে রয়েছে হাফপ্যান্ট। সংলগ্ন বাড়িটির বাসিন্দারা সকালে দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। ফাঁকা জায়গায় হাফপ্যান্ট পরনে, খালি গায়ে দেহ পড়ে ছিল। যেহেতু গলায়, মাথায় আঘাত রয়েছে তাতে প্রাথমিকভাবে খুন বলেই মনে করছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সন্দেহ অন্য কোথাও খুন করে এই জায়গায় এনে দেহ ফেলে দেওয়া হতে পারে। আশপাশের এলাকায় কোনও ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছে কিনা তা খোঁজ করা হচ্ছে। ওই ব্যক্তির পরিচয় খোঁজার কাজ শুরু হয়েছে। 


দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। প্রাথমিকভাবে খুনের সন্দেহকে সামনে রেখে তদন্ত শুরু হলেও সব সম্ভাবনার কথাই মাথায় রাখছে পুলিশ, খবর সূত্রের। 


কলকাতা শহরের বুকে অপরাধের ঘটনা কম নয়। দেহ উদ্ধারের ঘটনাও হয়ে থাকে। কিন্তু সাতসকালে বসতি এলাকায়, বিজয়গড়ের মতো ঘনবসতিপূর্ণ জায়গায় হঠাৎ করে বাড়ির পাশে দেহ পড়ে থাকতে দেখে আতঙ্কে কাঁটা গোটা এলাকায় লোক। কীভাবে এই দেহ এখানে এল তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। 


বসতি এলাকায় এভাবে যদি কেউ দেহ ফেলে যায় তাহলে সেই এলাকায় নিরাপত্তা কোথায় রয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা। এভাবে যে কারও যাতায়াত থাকলে এই এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন উঠে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এলাকায় কড়া নিরাপত্তা বজায় রাখার দাবিও উঠছে।


পুলিশ ওই দেহের পরিচয় খোঁজার কাজ শুরু করেছে। আশেপাশের এলাকায় খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে। একাংশের সন্দেহ যা এখনও পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছে, তাতে কাছাকাছি কোনও এলাকার ব্যক্তি হতে পারেন তিনি। দেহের পরিচয় পাওয়া গেলেই কীভাবে এখানে এলেন, কী হয়েছিল সেই সংক্রান্ত একটা ধারণা পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 


আরও পড়ুন: প্রতিদিন নিয়মিত মধু সেবনে কী কী উপকার হতে পারে আমাদের স্বাস্থ্যের?