সন্দীপ সরকার, কলকাতা : খাস কলকাতার (Kolkata) প্রকাশ্য রাস্তায় বেধড়ক মার খেলেন তৃণমূল কাউন্সিলর (TMC Councillor Beaten)। তাঁকে  ঘিরে ধরে প্রকাশ্যে রাস্তাতেই 'বাঁশ-লাঠি-লোহার স্টিক' দিয়ে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মহম্মদ জসিমুদ্দিনের। তিনি অভিযোগ করেছেন ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর আয়েষা কানিজের অনুগামীদের দিকে। উল্টোদিকে, আয়েষা কানিজের স্বামী ইরফান আলি তাজ জানিয়েছেন, 'জসিম ভাইয়ের সঙ্গে কোনও বিবাদ নেই। উনি কেন এসেছিলেন কথা বলে জানতে হবে। আসলে দুটি ছেলের ঝামেলা থেকে বিষয়টা হয়েছে।' ইতিমধ্যে গোটা ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে বৌবাজার থানর পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।


মারপিটের ঘটনার সূত্রপাত কীভাবে


জানা গিয়েছে, জাকারিয়া স্ট্রিটে স্কুটার নিয়ে যাচ্ছিলেন জসিমুদ্দিনের ভাই। স্কুটার নিয়ে যাওয়ার সময় নীরজ নামে একজনকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ। সেখান থেকেই দু'জনের বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। কোনওক্রমে একটি বাড়িতে ঢুকে প্রাণভয়ে দাদা জসিমুদ্দিনকে তাঁর ভাই ফোন করেন। যার পরই বৌবাজার থানায় ফোন করার পাশাপাশি নিজের বেশ কিছু অনুগামীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। যারপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।


ঠিক কী অভিযোগ প্রহৃত তৃণমূল কাউন্সিলরের


তৃণমূলের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মহম্মদ জসিমুদ্দিন জানান, তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই তাঁকে ঘিরে ধরে দেড়শো-দুশো জন। তাঁরা ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আয়েষা কানিজের অনুগামী বলেই অভিযোগ তার। ঘিরে ধরার পর তাঁকে 'কাবাব বানানোর লোহার স্টিক, বাঁশ-লাঠি, হকি স্টিক' নিয়ে আক্রমণের চেষ্টা হয় বলেই অভিযোগ তাঁর। ধস্তাধস্তির মাঝে তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। ঘটনাস্থলে কিছুক্ষণের মধ্যে বৌবাজার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও ‘জসিমুদ্দিনের ঘনিষ্ঠরাই বাঁশ, রড নিয়ে হামলা চালিয়েছে’ পাল্টা অভিযোগ ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর আয়েষার স্বামীর ইরফান আলি তাজ।


আরও পড়ুন- বেহালা সংঘর্ষে মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা, 'পাক্কা ক্রিমিনাল' তোপ মেয়র পারিষদ তারক সিংহের