হিন্দোল দে, কলকাতা : মাঝে কেটে গিয়েছে তিন দিন। কিন্তু বেহালায় (Behala Clash) তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের (TMC Inner Clash) ঘটনায় এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত তথা শাসকদলের বহিষ্কৃত যুব নেতা সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাপন। যদিও তাঁর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত চার অনুগামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখা ও বেহালা থানার পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করে। সব মিলিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৬। ২ দিন আগেও যিনি ছিলেন দলের নেতা, এদিন সেই সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাপনকে দুষ্কৃতী বলেও মন্তব্য করেন তারক সিংহ (Tarak Singh)। 


'পাক্কা ক্রিমিনাল' বললেন তারক সিংহ


২ দিন আগেও যিনি ছিলেন দলের নেতা, এদিন সেই সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাপনকে দুষ্কৃতী বলেও মন্তব্য করেন তারক সিংহ। তৃণমূল কাউন্সিলর ও মেয়র পারিষদ তারক সিংহ বলেছেন, 'সোমনাথ একটা পাক্কা ক্রিমিনাল। ছেলেটা দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলে সন্ত্রাস করে বেড়াচ্ছে। হাত পেকেছে আস্তে আস্তে। কোথাও পুকুর ভরাট কারো বাড়ি দখল, কারও ফ্ল্যাট দখল। ও একটা পাকা ক্রিমিনাল।' সংঘর্ষের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে, যে চারজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তাঁদের ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত। কিন্তু মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা থাকায় আতঙ্ক কাটছে না এলাকাবাসীর।


বেহালা সংঘর্ষে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ


তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে, মঙ্গলবার রাতভর রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বেহালার চড়কতলা। পুলিশের সামনেই তাণ্ডব চালায় দুই গোষ্ঠী। কিন্তু কার্যত দর্শকের ভূমিকাতেই দেখা যায় উর্দিধারীদের। কিন্তু কার্যত দর্শকের ভূমিকাতেই দেখা যায় উর্দিধারীদের। এর ফলে প্রথম দিন থেকেই প্রশ্নের মুখে পড়েছিল পুলিশের ভূমিকা। এদিন যা কার্যত মেনে নিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ ও তৃণমূল কাউন্সিলর তারক সিংহ। তৃণমূল কাউন্সিলর ও মেয়র পারিষদ তারক সিংহ বলেছেন, 'পুলিশের কাজ হচ্ছে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এই মুহূর্তে কিছু বলব না কেন রেড করেছে ধরেছে। কিন্তু ডিলে হয়েছে এটা যেমন ফ্যাক্ট এবং ঘটনার দিন পুলিশের কড়া হাতে দমন করা উচিত ছিল, এটা আমি নিশ্চয়ই বলবো।'


আরও পড়ুন- ‘ধর্ষণ হলে প্রমাণ দেখাক, বেশি বাড়াবাড়ি করলে ডান্ডা দিয়ে ঠান্ডা করে দেব’ ভাইরাল তৃণমূল নেতার হুমকি