Continues below advertisement

অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর : ওড়িশা থেকে কলকাতা আসার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।  বুধবার ভোররাতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন একাধিক মানুষ । ওড়িশা থেকে কলকাতাগামী একটি বেসরকারি রুটের বাস জলেশ্বরের কাছে ১৬নং জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরিকে পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা মারে। প্রবল সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাসের চালক ও হেল্পারের।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার ভোররাতে বাসটি দ্রুত গতিতে জাতীয় সড়ক ধরে কলকাতার উদ্দেশে আসছিল। সেই সময় জলেশ্বরের কাছে পৌঁছনোর পরই হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারায় বাসটি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সরাসরি সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরির পিছনে গিয়ে ধাক্কা মারে। সংঘর্ষের ফলে বাসের সামনের অংশ সম্পূর্ণভাবে দুমড়ে-মুচড়ে যায়, চালক ও হেল্পার সামনের দিকেই আটকে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।                          

Continues below advertisement

খবর পেয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ও  ওড়িশা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। ক্রেন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় চালক ও হেল্পারের দেহ উদ্ধার করা হয়। আহত যাত্রীদের স্থানীয় জলেশ্বর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, যাত্রীদের মধ্যে ৯ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত নন, সকলেই বর্তমানে নিরাপদে রয়েছেন।           

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অতিরিক্ত গতি এবং ঝিরঝিরে বৃষ্টির জন্য দৃশ্যমানতা কম থাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে থেকতে পারে ।  তবে সঠিক কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে ওড়িশা পুলিশ। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস ও লরিটি আটক করা হয়েছে।            

বাংলাতেও পথ দুর্ঘটনা

 চন্দননগর কলুপুকুরে জগদ্ধাত্রী পুজোর মন্ডপের সামনে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক বাইক আরোহীর। জানা গিয়েছে, অষ্টমীর সকালে চুঁচুড়া মতিঝিলের দম্পতি তরুণ কান্তি দাস ও শিবানী দাস বাইক নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন।কলুপুকুর পুজো মন্ডপের সামনে তাদের বাইকে পিছন থেকে একটি লরি ধাক্কা মারে। দুজনেই রাস্তায় পড়ে  যান। বাইকের পিছনে বসে ছিলেন  ৫২ বছরের শিবানী দাস। তিনি রাস্তায় পড়ে যেতেই তার উপর দিয়ে লরি চলে যায়। স্থানীয়রা ছুটে আসেন। ততক্ষণে যা হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে। লরি চালক ও লরিটিকে আটক করে পুলিশ।