অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ইতিমধ্যেই একবার সমীক্ষা হয়ে গিয়েছে। সেই রিপোর্টও জমা পড়ে গিয়েছে। এবার ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর কাজে বউবাজারে বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে আইআইটি রুরকি-কে দিয়ে সমীক্ষা করাল কেএমআরসিএল (KMRCL) কর্তৃপক্ষ। বিপর্যস্ত এলাকার নানা দিক খতিয়ে দেখেছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, কয়েকদিনের মধ্যেই রিপোর্ট দেবেন তাঁরা।
পরপর সমস্যা:
১১ মে দ্বিতীয়বার বিপর্যয় ঘটেছিল বউবাজারের (Bowbazar) ওই এলাকায়। ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় ছিল ১২টি বাড়ি। এর আগেও একবার বিপর্যয় ঘটেছিল। ২০১৯ সালে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর (East West Metro) কাজের সময়, টানেল বোরিং মেশিন ধাক্কা মেরেছিল জলস্তরে। মাটিতে ফাটল হয়ে জল ঢুকতে শুরু করেছিল টানেলে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ৭৬টি বাড়ি। ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পে, হাওড়া ময়দান থেকে ফুলবাগান পর্যন্ত মাটির নীচে তৈরি হয়েছে মেট্রোর পথ। কোথাও সমস্যা হয়নি। কিন্তু বারবার ভোগাচ্ছে বউবাজার। আরও সুনির্দিষ্ট ভাবে বললে বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেন ও স্যাঁকরাপাড়া লেনে। কিন্তু কেন? বারবার এই এলাকাতেই কেন সমস্যা হচ্ছে? সেই কারণটাই খুঁজে বের করবেন IIT রুরকি (iit roorkee)-র বিশেষজ্ঞরা। এরপরে কাজ করতে গেলে যেন আর কোনওরকম সমস্যা না হয় তার জন্যই এমন পদক্ষেপ নিতে চলেছে রেল।
বউবাজার বিপর্যয়ের পর, এলাকা ঘুরে দেখেছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা। কলকাতা পুরসভাকে দেওয়া প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল, নতুন করে নির্মাণ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এই অবস্থায় ঝুঁকি এড়াতে বউবাজারের বিপজ্জনক অংশে কাজ বন্ধ রেখেছে KMRCL কর্তৃপক্ষ। ভবিষ্যতে ফের কাজ শুরু হলেও যাতে বিপর্যয় এড়ানো যায়, তার হদিশ পেতেই IIT রুরকি-র সাহায্য নিয়েছে তারা। এমনটাই জানানো হয়েছে কেএমআরসিএল-এর তরফে।
কারা ছিলেন?
বিশেষজ্ঞ দলে ছিলেন IIT-র অধ্যাপক নরেন্দ্র সামাধিয়া ও আকাঙ্খা ত্যাগী। রবিবার টানেলের অংশ খতিয়ে দেখেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, কয়েকদিনের মধ্যেই বিশেষজ্ঞ দল তাদের রিপোর্ট দেবে। তার ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে KMRCL কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: 'আমার পার্টির লোক হলে টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম', তোপ ক্ষুব্ধ মমতার