উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, পুরুলিয়া: সোমবার পুরুলিয়ায় (Purulia) ছিল মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা। যত সময় এগোল, ততই যেন উত্তাপ বাড়ছিল সভায়। জেলায় ওঠা নানা অভিযোগ নিয়ে, নানা ভোগান্তির নালিশ নিয়ে কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister) তোপের মুখে পড়েছেন পুরুলিয়ার সরকারি আধিকারিকরা। বাদ যাননি পুরুলিয়ার জেলাশাসকও।


মমতার রুদ্রমূর্তি:
কখনও কোনও প্রকল্পের কাজ বাকি থাকা নিয়ে তিরষ্কার। কখনও আবার ভূমি রাজস্ব (Land Revenue) দফতরের বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ। একের পর এক অভিযোগ তুলে এদিন জেলাশাসক-সহ জেলার আধিকারিকদের আগাগোড়া তুলোধনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।  


কী অভিযোগ:
ইটভাটা থেকে সংগৃহীত রাজস্ব ঠিকমতো কোষাগারে নাকি জমা পড়ছে না। তা নিয়ে খোদ জেলাশাসককে প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ' নীচুতলার এরা কালেকশন করে। তারা কালেকশন করে সরকারকে টাকাটা জমা দেয় না। কিছুটা দেয়। বাকিরা নিজেরা খেয়ে নেয়। কী জেলা চালাচ্ছ গো তুমি? এতদিন ধরে জেলায় আছো! হোয়াট ইউ আর ডুইং? আমার আইডিয়া চেঞ্জ হয়ে গেল।' ক্ষুব্ধ মমতাকে বলতে শোনা যায়, 'এতকিছু দিচ্ছি মানুষকে। অথচ কিছু লোক এত লোভী কেন হয়ে গেছে? আর কত চাই? আমার পার্টির লোক হলে আমি টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম এবং তাঁদের শাসন আমি সবসময়ই করি।'     






ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরেই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এছাড়াও একাধিক প্রকল্প আটকে থাকায় অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী। গোটা পুরুলিয়া জুড়ে একাধিক সরকারি প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও, তা সময়ে শেষ হয়নি! এই প্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ত্‍সনার মুখে পড়েন জেলাশাসক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'তোমাদের জেলায় কত প্রোজেক্ট পেন্ডিং আছে? তোমরা চটপট উত্তর দিয়ে দাও। ইট ইজ আন্ডার প্রোসেস। মানে যেগুলো করোনা বা ফেলে রেখে দাও, দিনের পর দিন। তোমরা বলে দাও ইট ইজ আন্ডার প্রোসেস। প্রেজেন্ট স্টেটাস কি? সেটা কি? খায় না মাথায় দেয়?'


মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের পরেই এদিন সক্রিয় হয় পুলিশ। বলরামপুরের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের অফিসের সামনে গিয়ে দেখা যায় দুটি দোকান সিল করে দিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ২ জনকে। 
 
আরও পড়ুন: পরীক্ষার ৪০ দিনের মাথায় হাইমাদ্রাসা, আলিম ও ফাজিল পরীক্ষার ফল প্রকাশ