কলকাতা: কলকাতায় ফের হেলে পড়া বহুতলের হদিশ। এবার কসবার রাজডাঙায় হেলে পড়া বহুতলের হদিশ মিলল। অ্যাক্রোপলিস মলের পিছনে পাঁচতলা বাড়ি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ধীরে ধীরে হেলে পড়ছে বহুতল।
বাড়ির ডানদিকে মাটি থেকে উচ্চতা যেখানে প্রায় ১১ ফুট, বাড়ির বাঁ দিকের অংশের উচ্চতা মেরেকেটে ৬ ফুট। ভয়ের চোটে নিজেদের ফ্ল্যাট ছেড়ে অন্যত্র থাকছেন বহুতলের কোনও কোনও বাসিন্দা। কেউ আবার প্রাণ হাতে করে হেলে পড়া বহুতলেই রয়েছেন। পুরসভা ও স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। খোঁজ নিয়ে দেখার কথা জানিয়েছেন ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর লিপিকা মান্না।
গত দেড় সপ্তাহে ইতিমধ্যেই হেলে পড়া বাড়ির সংখ্যা ৫ ছাড়িয়েছে। বাঘা যতীন, বেলঘরিয়া, ট্যাংরা, বিধাননগর পুরসভার দুটি এলাকার পর এবার তপসিয়ায় হেলে পড়েছে বহুতল। আতঙ্কে কাঁটা বাসিন্দারা। আর ঠিক এহেন পরিস্থিতির মাঝেই, সম্প্রতি মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ' সব হেলে পড়া বাড়ি মানেই বিপজ্জনক নয়। কলকাতায় অনেকগুলি বাড়ি আছে। বছরের পর বছর রয়েছে। আংশিক একটু হেলে গিয়েছে। বছরের পর বছর রয়েছে। এদিকের বাড়িটা Sanctioned plan পায়নি। আজকে Structural Ability Test হবে। তারপরে ওনারা কাগজপত্র নিয়ে আমার কাছে আসবেন। FIR তো নিশ্চয়ই হয়েছে। আমি হট করে ..হঠকারী নই। এটা মেয়র ঠিক করবে না, এটা ইঞ্জিনিয়াররা ঠিক করবেন। সব হেলে পড়া বাড়ি বিপজ্জনক নয়, যদি Structural Ability দিয়ে দেয়। যে Structure ঠিক আছে, তাহলে বিপজ্জনক নয়।'
সম্প্রতি এমনই ঘটনার মুখোমুখী হয় বাঘাযতীন এলাকা। বাঘাযতীনে বহুতল হেলে পড়ার দায় কার? তা নিয়ে চরমে চাপানউতোর। অভিযোগ, তিনতলার অনুমতি থাকলেও, নির্মাণ হয়েছিল চারতলা। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর বলছেন, তিনি জানেনই না, এই বহুতল কবে হয়েছে। ফিরহাদ হাকিম দায় ঠেলছেন বাম আমলের দিকে। পাল্টা সিপিএমের দাবি, এই বহুতল তৈরি যখন শুরু হয়,তখনও এলাকায় ছিলেন তৃণমূলের কাউন্সিলর। আক্ষরিক অর্থেই পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে! বাঘাযতীনের বহুতল বিপর্যয়ে রাতারাতি আশ্রয়হীন বহু পরিবার। কিন্তু, এর দায় কার? এই বহুতল হেলে পড়ার পর সামনে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।