আবির দত্ত, ময়ূখঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : এলগিন রোডে (Elgin Road ) রত্ন ব্যবসায়ীকে (Businessman Murder ) খুনের কিনারা এখনও হয়নি। তার আগেই ওড়িশা ক্রাইম ব্রাঞ্চের (Odisha Crime Brunch ) তরফে সন্দেহভাজন বিমল শর্মার (Vimal Sharma ) বিরুদ্ধে জারি হল লুক আউট নোটিস। দিল্লির বাসিন্দা বিমল ভবানীপুরের রত্ন ব্যবসায়ী শান্তিলাল বৈদ্যর খুনে জড়িত বলে অনুমান ওড়িশা পুলিশের।

পুলিশ সূত্রে খবর, সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সম্প্রতি কটক ও ভুবনেশ্বরে দেখা গিয়েছে। ধরতে পারলে পুরস্কারও ঘোষণা করেছে ওড়িশা পুলিশ। ১৪ ফেব্রুয়ারি খুন হন ভবানীপুরের রত্ন ব্যবসায়ী শান্তিলাল বৈদ্য। অপহরণ করে খুনের পর মুক্তিপণের ২৫ লক্ষ হাতিয়ে আততায়ী চম্পট দেয় বলে মৃতের পরিবারের অভিযোগ করে।

আরও পড়ুন :


'ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট নম্বর জামতাড়া গ্যাংকে দিত এরা', অবশেষে পুলিশের জালে


এখনও এলগিন রোডের হত্যাকাণ্ডের কিনারা হয়নি। ধরা পড়েনি আততায়ী। খুনি কে?  কী কারণে খুন? তা নিয়ে এখনও ধন্দে লালবাজারের দুঁদে গোয়েন্দারা। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এলগিন রোডের গেস্ট হাউস থেকে ব্যবসায়ী শান্তিলাল বৈদ্যর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে দাবি, বিশাল নামে এক তরুণের সঙ্গে আঙ্কল পরিচয়ে ওই গেস্ট হাউসে উঠেছিলেন ব্যবসায়ী। রাত দশটা নাগাদ ওই তরুণকে গেস্ট হাউস থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়।তারপর আর কাউকে সেখানে ঢুকতে দেখা যায়নি। 


আর মৃত ব্যবসায়ীর পরিবারের দাবি, তাঁরা রাত সোয়া দশটা নাগাদ, ভিক্টোরিয়ার কাছে ট্যাক্সিতে, এক জনকে মুক্তিপণের ২৫ লক্ষ টাকা দেন। সূত্রের খবর, খুনের তদন্তে নেমে এখনও কোনও পোক্ত সূত্র পাননি গোয়েন্দারা। ট্যাক্সি চালককে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। এমনকী, উত্তর ভারতের পাশাপাশি প্রতিবেশী একাধিক রাজ্যে অভিযান চালিয়েও খোঁজ মেলেনি আততায়ীর। অপহৃতকে খুনের পর মুক্তিপণের টাকা নিয়ে অভিযুক্ত উধাও হওয়ায় খুনের উদ্দেশ্য নিয়ে চরম বিভ্রান্তিতে দুঁদে গোয়েন্দারা। এরপরই ওড়িশা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সম্প্রতি কটক ও ভুবনেশ্বরে দেখা গিয়েছে। ওড়িশা ক্রাইম ব্রাঞ্চের তরফে সন্দেহভাজন বিমল শর্মার বিরুদ্ধে জারি হল লুক আউট নোটিস। এই ব্যক্তি দিল্লির বাসিন্দা । ভবানীপুরের রত্ন ব্যবসায়ী শান্তিলাল বৈদ্যর খুনে তিনি জড়িত বলেই অনুমান ওড়িশা পুলিশের।


তদন্তকারীদের অনুমান, খুনি সম্ভবত অন্যের নামে সিমকার্ড ব্যবহার করেছে। তাই তাঁকে সনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ছে।