আবির দত্ত, কলকাতা: তন্ত্রসাধনার নামে মহিলাকে মদ খাইয়ে বেহুঁশ করে ধর্ষণের অভিযোগ জ্যোতিষীর বিরুদ্ধে। চিত্‍পুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা।  টালা থেকে অভিযুক্ত জ্যোতিষীকে গ্রেফতার করল পুলিশ।


বিজ্ঞাপন দেখে জ্যোতিষীর সঙ্গে যোগাযোগ করাই কাল হল।  প্রতারণা ও ধর্ষণের শিকার হলেন এক মহিলা। তাঁর অভিযোগ,  তন্ত্রসাধনা না করলে স্বামীর মৃত্যু হবে, এই ভয় দেখান জ্যোতিষী। অভিযোগ, সেই জন্য দু’জায়গায় নিয়ে গিয়ে বেঁহুশ করে ধর্ষণ করেন জ্যোতিষী। রবিবার চিত্‍পুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা। সোমবার অভিযুক্ত জ্যোতিষীকে টালার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগকারিণী চিত্‍পুরের বাসিন্দা। তাঁর দাবি, মাস দেড়েক আগে বিজ্ঞাপন দেখে তিনি জ্যোতিষী সুভাষ ওরফে অভিজিত্‍ ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। 


অভিযোগকারিণী বলেন, "আমি যোগাযোগ করি। আমাকে বলে স্বামী মারা যাবে, অমঙ্গল হবে, বাচ্চা হবে না। এই সব বলে ভয় দেখায়। .......বলে তন্ত্রসাধনার প্রয়োজন।" ধর্ষণের পাশাপাশি, মহিলাকে আংটি দেওয়ার নামেও প্রতারণা করা হয় বলে অভিযোগ। কীভাবে আংটি বা পাথর দিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন। 


অভিযোগ, তন্ত্রসাধনার নাম করে মহিলাকে দু’বার ওই জ্যোতিষী নিয়ে যান বীরভূম ও ডায়মন্ড হারবারে। সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগকারিণী বলেন, "আমাকে নিয়ে গিয়ে কিছু খাইয়ে বেহুঁশ করে খারাপ আচরণ করে।" তৃতীয়বার সাধনার জন্য জ্যোতিষী বাইরে যাওয়ার প্রস্তাব দিলে মহিলা চিত্‍পুর থানায় রবিবার অভিযোগ দায়ের করেন। 


সোমবার টালা থানা এলাকা থেকে অভিযুক্ত জ্যোতিষী অভিজিত্‍ ঘোষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, অভিযুক্ত ২ থেকে ৩ বছর কারবার চালাচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা আরও অনেকের সঙ্গে হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তর কাছে যে জাল আধারকার্ড মিলেছে, তা কোথা থেকে তৈরি করা হয়েছে, নেওয়া হচ্ছে সেই খোঁজও।