কলকাতা: কলকাতায় ফের করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল। বন্দর হাসপাতাল থেকে আরও ২ জনের নমুনা পাঠানো হয় বেলেঘাটার NIRBI-তে। পরীক্ষায় ধরা পড়েছে ২ জনই করোনা আক্রান্ত। 

দেশজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্ত। শহরে ফের কোভিড আক্রান্তের হদিশ মিলল। বন্দর এলাকায় কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট হাসপাতাল থেকে আরও ২ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে বেলেঘাটার NIRBI-তে। পরীক্ষায় ধরা পড়েছে ২ জনই করোনা আক্রান্ত। রাজ্যে এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৪। গত কয়েক সপ্তাহে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকংয়ের মতো এশিয়ার একাধিক জায়গায় হু-হু করে বেড়েছে করোনার সংক্রমণ।উদ্বেগ বাড়িয়ে ভারতেও বাড়ছে সংক্রমণ। সারা দেশে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৪৭। কেরল, মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। দেশে এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।  

২০২০ থেকে ২০২২, যে ভাইরাস গোটা বিশ্বে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিল, কেড়ে নিয়েছিল লক্ষ লক্ষ প্রাণ। বছর তিনেক পর ফের দেশজুড়ে সেই করোনার চোখ রাঙানি। গত কয়েকদিন মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকংয়ের মতো এশিয়ার একাধিক জায়গায় হুহু করে বেড়েছে করোনার সংক্রমণ। উদ্বেগ বাড়িয়ে, ভারতেও বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। মহারাষ্ট্র, কর্ণাটকের পাশাপাশি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে, দিল্লি, হরিয়ানা, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এমনকী বাংলাতেও। ফলে ৩ বছর আগের সেই ভয়বহ দিনগুলির কথা মনে পড়ে য়াচ্ছে অনেকেরই। যদিও চিকিৎসকরা বলছেন, এখনই উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছি নেই। তবে সচেতন থাকতে হবে।                     দিল্লি, মুম্বইয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার ইতিমধ্যেই সতর্কতামূলক গাইডলাইন জারি করেছে। সংক্রমণের নেপথ্যে উঠে আসছে করোনার নতুন উপপ্রজাতি NB.1.8.1-এর নাম। ওমিক্রন সাবভ্যারিয়েন্ট JN.1 থেকে এর উৎস। চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, চিনে প্রথম শনাক্ত হয় করোনার এই নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট। ইতিমধ্যেই, এই উপপ্রজাতিকে VARIENT UNDER MONITORING অর্থাৎ VAM বলে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থা। সূত্রের খবর, শনিবার, কোভিড-১৯ এর পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য গবেষণা বিভাগের সচিব, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ অর্থাৎ ICMR, DGHC, ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অর্থাৎ NCDC-র সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। দেশজুড়ে একাধিক শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাগুলিতে নজর রাখছে আইডিএসপি ও ICMR। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃদু উপসর্গ ধরা পড়েছে যা বাড়িতে থেকেই নিরাময় সম্ভব। বর্তমানের ভ্যারিয়েন্টগুলো তুলনায় কম সংক্রামক।