কলকাতা: খাস কলকাতায় বাড়ির সামনে গুলি করে খুন করা হয়েছিল দমকলকর্মীকে। লেকটাউনের ওই ঘটনায় টিটাগড় থেকে গ্রেফতার করা হল ২ জনকে। পুলিশ সূত্রের খবর, গ্রেফতার হওয়া ২ জন ভাড়াটে খুনি। মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে ফেরার সময় হামলা করা হয়েছিল। কেন খুন, তা এখনও অজানা। সেই কারণ জানতে চলতে তদন্ত।


লেকটাউনের সারদা পল্লিতে প্রকাশ্যে শ্যুটআউটের (Kolkata Shootout Case) ঘটনা ঘটে। খুন হওয়া ওই দমকলকর্মীর নাম স্নেহাশিস রায়। আগেও দমকলকর্মীর উপর হামলা? কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা। 


বৃহস্পতিবার বিকেলে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ঘটে যায় লেকটাউনে। প্রকাশ্যে, দিনের আলোয় বাড়ির সামনে গুলি করে খুন করা হয় ওই দমকলকর্মীকে। সূত্রের খবর, মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। সবেমাত্র মেয়ে নেমে এগিয়ে গিয়েছিল। স্নেহাশিস বাইক থেকে নামতে যেতেই গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। সূত্রের খবর, বাইকে করে এসেছিল ২ দুষ্কৃতী। তাদের মুখ ঢাকা ছিল। সূত্রের খবর, ২টি গুলি চালায় তারা। গুলির শব্দ কানে যেতেই বেরিয়ে আসে মেয়ে, সে দেখতে পায় তার বাবা মাটিতে পড়ে গিয়েছে। চোখের নিমেষে বাইক নিয়ে পালিয়ে যায় দুই দুষ্কৃতী।


বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে ১৫ মিনিট। সেইসময়েই এই হামলা হয়। তারপরেই দ্রুতগতিতে স্নেহাশিসকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় আরজিকরে। সেখানেই স্নেহাশিসকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। 


আগেও হামলা:
২০২২ সালেও এই ব্যক্তির উপরেই হামলা হয়েছিল। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সেইসময় তিনি ক্যান্টনমেন্টের ফায়ার অফিসে কাজ করতেন। সেখানে তাঁকে বাইরে ডেকে এনে গুলি চালানো হয়েছিল। সেই সময় কোনওমতে প্রাণে বেঁচেছিলেন স্নেহাশিস। সেই ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনার কোনওরকম যোগ রয়েছে কিনা তা খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ। এদিন দুইজন ভাড়াটে খুনিকে ধরা হয়েছ। তাদের কে বা কারা এই খুন করতে বলেছে। আদতে ঘটনার মাস্টারমাইন্ড কারা সেটাই খুঁজে বের করতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।


বৃহস্পতিবার ওই ঘটনার পরে এলাকায় প্রবল আতঙ্ক ছড়ায়। ওই এলাকায় গিয়েছিলেন বিধায়ক এবং দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি বলেন, 'স্নেহাশিসকে আমি চিনতাম। ওর জন্য পুলিশকে বলেছিলাম। ওকে বারবার জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, বলতে পারেনি। ওই ঘটনার পরে ও বলেছিল দমদমে থাকবে না। কাছাকাছি কোথাও করে দিতে। আমি ওকে নিউটাউনে করে দিয়েছিলাম।'


কলকাতার বুকে দিনের বেলায় বাড়ির সামনে এভাবে গুলি করে খুনের ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন। কীভাবে প্ল্যান হল, স্নেহাশিস কখন কোথায় থাকবেন সেটা আততায়ীরা কীভাবে জানল? কেন তাঁকে মারা হল এরকম বহু প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। উত্তর মিলবে তদন্তের পরেই। 



আরও পড়ুন: বাড়ছে জলস্তর, ফুঁসছে নদী, টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের জনজীবন