ময়ৃখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : সকাল সকাল চাঞ্চল্যকর ঘটনা শম্ভুনাথ পন্ডিত স্ট্রিটে। গেস্ট হাউস থেকে উদ্ধার হল মৃতদেহ। 

সোমবার সকাল থেকে মিলছিল না খোঁজ। লি রোডের বাসিন্দা স্বর্ণ ব্যবসায়ী হঠাৎই নিরুদ্দেশ হয়ে যান।পরিবারের লোকেদের দাবি, তিনি নিখোঁজ হওয়ার পরই প্রথমে কোটি খানেক টাকা ও পরে অঙ্ক কমিয়ে ২৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল। এরপর সোমবার রাতে গেস্ট হাউসের ঘর থেকে পুলিশ উদ্ধার করে তার মৃতদেহ। ঘটনার তদন্তে নেমেছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা। জানা গিয়েছে,সোমবার সন্ধে নাগাদ ভবানীপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি (Missing Dairy)  করা হয়। তারপরই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। বাড়ি থেকে গেস্ট হাউসের দূরত্ব মেরেকেটে  ১ কিলোমিটার ! পুলিশ সূত্রে খবর, গলায় দাগ মিলেছে। পুলিশের সন্দেহ, গলায় তার জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করা হয়। 


লি রোডের বাসিন্দা, ব্যবসায়ী এস এল বৈদ-কে নিয়ে এক ব্যক্তি গতকাল এলগিন রোডের ওই গেস্ট হাউসে যায়। ব্যবসায়ীকে পরিচয় দেয় নিজের কাকা বলে।  এরপর, একটা সময় চেক আউট না করে ওই ব্যক্তি গেস্ট হাউস থেকে বেরিয়ে যায়।  রাতে পুলিশ ঘর থেকে ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। 

এলগিন রোডের এক গেস্ট হাউস থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধল। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, গলায় টেলিফোনের তারের ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় ওই ব্যবসায়ীকে। পরিবারের অভিযোগ, অপহরণ করে ব্যবসায়ীকে খুন করা হয়েছে।


ঘটনার তদন্তে নেমেছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা।  গভীর রাত পর্যন্ত লালবাজারে ছিলেন পুলিশের আধিকারিকরা। এই ঘটনার পিছনে কী রহস্য, কারাই বা মুক্তপণ চাইছিল, এই নিয়েই ঘনাচ্ছে রহস্য। যিনি কাকা পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীর সঙ্গে গেস্ট হাউসে এসেছিলেন, তিনিই বা কে ! এই নিয়ে চলছে তদন্ত। তিনিই কি জড়িয়ে খুনের সঙ্গে ? উঠছে প্রশ্ন