অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: ওষুধ বিক্রির লাইসেন্সই (Drug Licence) ছিল না। তার উপর নিষিদ্ধ ওষুধের কারবার। হাতেনাতে ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল মালদা পুলিশ (Malda police)। দোকান থেকে উদ্ধার হল প্রচুর পরিমাণ বেআইনি ওষুধ। তবে শুধুমাত্র একটি দোকানে নয়, মালদার যত্রতত্র এমন বেআইনি ওষুধের দোকান গজিয়ে উঠেছে এবং সেখানে রমরমিয়ে নিষিদ্ধ ওষুধের ব্যবসা চলছে বলে দাবি পুলিশের।
মালদার হরিশচন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত বারদুয়ারী এলাকার ঘটনা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে একটি বেআইনি ওষুধের দোকানে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে ১১৫ বোতল কোরেক্স বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। এ ছাড়াও উদ্ধার হয় ফেনসিডিল-সহ বেশ কিছু বেআইনি ওষুধ উদ্ধার হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ২০ হাজার টাকা।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যবসায়ীর নাম তাজিবুর রহমান। বয়স ২৩ বছর। আদতে হরিশচন্দ্রপুরের মালিওর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রাঘবপুর এলাকায় বাড়ি তাঁর। সোমবার তাঁকে চাঁচল মহকুমা হাসপাতালে তোলা হয়। মালদা ড্রাগ কন্ট্রোল দফতরকেও গোটা বিষয়টি জানানো হয়। বেআইনি ওষুধের কারবারের একেবারে শিকড় পর্যন্ত পৌঁছতে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Pulwama Martyred Bablu Santra: পুলওয়ামার ৩ বছর, শহিদ বাবলু সাঁতরার ছবিতে শ্রদ্ধা মন্ত্রী পুলক রায়ের
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান, বেআইনিভাবে ওই ওষুধের দোকানটি চলছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে হানা দেয়। দোকান থেকে ১১৫ বোতল করেক্স বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দোকানের মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার যত্রতত্র এমন বেআইনি ওষুধের দোকান গজিয়ে উঠেছে। সেখান থেকে নানা বেআইনি ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। এই সব ব্যবসায়ীদের নিশানায় মূলত যুব সমাজ। মাদকাসক্ত করে তুলে তাঁদের অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রকাশ্য বাজারে দিনের পর দিন এ ভাবে বেআইনি ওষুধের কারবার কী ভাবে রমরমিয়ে চলছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী।