ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা:  সন্ধেয় বাড়ি থেকে বেরিয়ে হঠাৎই নিখোঁজ! তারপর নিখোঁজের মোবাইল থেকেই মুক্তিপণ চেয়ে ফোন! অপহরণকারীদের হাতে মুক্তিপণের টাকা তুলে দিল পরিবার। কিন্তু, তারপরও শেষ রক্ষা হল না। সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর, গেস্ট হাউসের ঘর থেকে উদ্ধার হল ৬৬ বছরের ব্যবসায়ীর মৃতদেহ। অবিন্যস্ত পোশাক! ঘরে পড়ে লুব্রিক্যান্ট! পুলিশ সূত্রে খবর, এক তরুণের সঙ্গে গেস্ট হাউসে গেছিলেন ব্যবসায়ী। এলগিন রোডের এই ঘটনা তোলপাড় ফেলে দিয়েছে কলকাতায়!


ভবানীপুরের রত্ন ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় পুলিশের হাতে এল নতুন তথ্য। মুক্তিপণ নিয়ে পালানোর সময় যে ট্যাক্সিতে চড়ে অভিযুক্ত পালায়, সেটিকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। জোড়াবাগান থানা এলাকার যদুনাথ মল্লিক লেনে খোঁজ মিলেছে হলুদ ট্যাক্সির। চালককে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। উঠে আসছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। 

আরও পড়ুন :


Bappi Lahiri's Post On Lata's Death : এই তো সেদিন, লতা মঙ্গেশকর চলে যাওয়ার পর লিখেছিলেন...


পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে চালক দাবি করেন, ভিক্টোরিয়া সাউথ গেটের কাছে মুক্তিপণ নেওয়ার পর ট্যাক্সিতে উঠে ক্যাথিড্রাল রোড, পার্ক স্ট্রিট হয়ে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছয় অভিযুক্ত। সেখানেই তাকে নামিয়ে দেন চালক। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ফোনের তার জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ব্যবসায়ীকে। পরিবারের অভিযোগ, আপত্তিকর ছবি ফাঁসের হুমকি দিয়ে ২৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়।


তদন্তকারীদের দাবি, এই ঘটনা শুধু এক ব্যবসায়ীর অপহরণ এবং খুন নয়! তার নেপথ্যে রয়েছে গভীর রহস্য। মৃত শান্তিলাল বৈদ্য বড়বাজারের ব্যবসায়ী। পরিবারের দাবি, সোমবার সন্ধে পৌনে সাতটা নাগাদ শান্তিলাল বৈদ্য পান কিনতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরোন। সন্ধে সাতটা পাঁচ নাগাদ ব্যবসায়ীর মোবাইল থেকে বাড়িতে ফোন আসে। বলা হয়, শান্তিলালকে অপহরণ করা হয়েছে। ২৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। টাকা না দিলে আপত্তিকর ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।