ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : প্রথমে IVF সেন্টারের খোঁজ মিলেছিল, এবার শিশুপাচারকাণ্ডে জড়াল এক চিকিৎসকের নাম ! কসবা এলাকায় চেম্বার করে বসা এক স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ অন্তঃসত্ত্বাদের প্রসব করানো এবং সদ্যোজাতদের পাচারের পিছনে জড়িত থাকা চক্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বলেই উঠে আসছে তথ্য ! আনন্দপুরে শিশুপাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর দাবি করল পুলিশ। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম ও প্রেসক্রিপশন এসেছে পুলিশের হাতে।
শিশু পাচারকাণ্ড সামনে আসার পর থেকে ৬ জন মহিলাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পাচারকাণ্ডে ধৃত ৬ মহিলার মধ্য়ে একজনের নাম রাজ্যের বিভিন্ন থানায় মামলায় যুক্ত রয়েছে বলেই খবর। এর মাঝে গতকাল ধৃত মমতা পাত্রকে জেরা করে অভিযুক্ত চিকিৎসকের হদিশ মেলে। যারপরই তাঁর নাম ও প্রেসক্রিপশনের খোঁজ মেলে বলেই দাবি পুলিশের।
সোমবার আনন্দপুর থানায় অভিযোগ জমা পড়ে, ২২ দিনের এক সদ্যোজাতকে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিবেশীরা জানান, শিশুকন্য়া নিয়ে মা-কে বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা গেলেও, মা যখন বাড়ি ফেরেন তখন সঙ্গে শিশুটি ছিল না। ঘটনার সূত্রপাত বেশ কয়েকমাস আগে। পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা নিঃসন্তান দম্পতি কলকাতার একটি IVF সেন্টারের দ্বারস্থ হন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, IVF সেন্টারের এক মহিলা কর্মী ওই দম্পতিকে আশ্বাস দেন, ৪-সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা খরচ করলেই সন্তান পাওয়া যাবে। তবে, সন্তানের জন্ম না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের অন্যত্র বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে হবে। বাড়িও তাঁরাই ঠিক করে দেবেন। এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান ওই দম্পতি।
IVF সেন্টারের আড়ালে কয়েক লক্ষ টাকায় শিশুপাচার চক্রের হদিশ মেলার পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। পুলিশের তরফে বাড়ানো হয় তল্লাশি। চক্রের ফাঁদ কতদূর জন্য ছড়িয়ে, সেটা জানতে ধৃতদের শুরু হয় জেরা। যারপরই আরও নাম সামনে উঠে আসতে শুরু করে। সেখানেই উঠে আসে এক স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নাম !
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন