নয়া দিল্লি: চাঁদের (Moon Mission) মাটি ছোঁয়ার স্বপ্নে এখন মশগুল ভারতবাসী (India)। এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ হিসেবে এই নজির গড়তে চলেছে ভারত। তবে এর জন্য আর কিছুদিনের অপেক্ষা করতে হবে। সব ঠিক থাকলে ২৩ অগাস্ট চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে।   

  


পৃথিবীর কক্ষপথ প্রদক্ষিণ সম্পূর্ণ করে চাঁদের বৃত্তে প্রবেশ করেছে চন্দ্রযান। ৫ অগাস্ট চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানটিকে চাঁদের কক্ষপথে ঢোকানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এর পর মোট চার বার চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করার কথা রয়েছে তাঁর। 


দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি চন্দ্রযান প্রপালশন মডিউল, ল্যান্ডার মডিউল এবং একটি রোভার নিয়ে তৈরি হয়েছে। এই প্রপালশন সিস্টেমের উদ্দেশ্য হল লঞ্চ ভেহিক্যাল ইনজেকশন কক্ষপথ থেকে ল্যান্ডারের পৃথকীকরণ পর্যন্ত ল্যান্ডার মডিউলটি বহন করবে। ল্যান্ডার এবং রোভারের নাম নেওয়া হয়েছে শেষ মিশন চন্দ্রযান-২ থেকে। ভারতীয় মহাকাশ কর্মসূচির জনক ডক্টর বিক্রম এ সারাভাইয়ের নামে ল্যান্ডারটির নামকরণ করা হয়েছে । 


অন্যদিকে, রোবোটিক যানটির নাম দেওয়া হয়েছে 'প্রজ্ঞান', যা সংস্কৃতে 'জ্ঞান'-এর অনুবাদ। ছয় চাকার যানটিতে চাঁদের পৃষ্ঠের সঙ্গে সম্পর্কিত ডেটা সরবরাহ করার জন্য পেলোড সহ কনফিগার করা হয়েছে।  এটি বায়ুমণ্ডলের মৌলিক গঠনের উপর তথ্য সংগ্রহ করবে। এর ওজন প্রায় ২৬ কেজি। 


আরও পড়ুন, পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তির হাতে-পায়ে সাড় ফিরিয়ে দিল AI, ফের চমক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার


চাঁদের কক্ষপথে ল্যান্ডিং করে রোভার এবং ল্যান্ডারকে পৌঁছে দেবে। তারপর মহাকাশযানের প্রোপালশন মডিউল থেকে রোভার এবং ল্যান্ডার আলাদা হয়ে যাবে এবং অবতরণ করবে চন্দ্রপৃষ্ঠে। সফলভাবে অবতরণের পর ল্যান্ডার একজায়গায় স্থিত হবে এবং চাঁদের বুকে ঘুরে ঘুরে অভিযান চালাবে রোভার। সফট-ল্যান্ডিং বলতে এখানে ল্যান্ডারের সফল অবতরণকেই বোঝানো হয়েছে। যদি ল্যান্ডার বা রোভারে সামান্য ক্ষতিও লক্ষ্য করা যায় কিংবা অবতরণে কোনও ত্রুটি দেখা যায় (প্রযুক্তি গত সমস্যা, সংঘর্ষ ইত্যাদি) তাকে বলা হবে হার্ড-ল্যান্ডিং। এমনটাই জানিয়েছে ইসরো।


চন্দ্রযান ২- এর ক্ষেত্রে সফলভাবে অবতরণ হয়নি। আর তা থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার আরও সতর্ক ইসরোর বিজ্ঞানীরা। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানের সফল অবতরণের ব্যাপারে একটুও ঝুঁকি নিচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা। ল্যান্ডারের অবতরণের আগে ভালভাবে খতিয়ে দেখা হবে সেই অংশ যেখানে ল্যান্ডার নামবে। এই কাজ পৃথিবীতে বসে করবেন বিজ্ঞানীরা।